মাঝখানে ব্যবধান মাত্র ৫-৬ দিনের। তারই মধ্যে আমূল বদলে গেছে পরিস্থিতি। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গত রবিবার আয়োজিত হয়েছিল মহিলা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের জন্য মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিজেদের ঘরে তুলেছিল আয়োজক অস্ট্রেলিয়া। ৮৬,০০০ এরও বেশি লোক দুই দেশের খেলা দেখতে মেলবোর্নের স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিল। কিন্তু ঠিক পাঁচদিনের মাথায় বদলে গেছে পরিস্থিতি। ৪৮,০০০ দর্শক আসন বিশিষ্ট সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড মেলবোর্নের সামনে লিলিপুট না হলেও, বেশ খানিকটা ছোট তো বটেই। সেই মাঠেই শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। সংবাদমাধ্যমের গুটিকয়েক প্রতিনিধি এবং নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া পুরো স্টেডিয়াম ছিল শূন্য। কারণ ভাবতে গেলে উঠে আসছে একটিই নাম -- করোনা ভাইরাস।
মাঠে কোনও লোক উপস্থিত না থাকায় দেখা যায় একটি অভিনব ঘটনা। কোনও ব্যাটসম্যান বল গ্যালারিতে পাঠালে যেই পক্ষ ফিল্ডিং করছিল সেই পক্ষের ফিল্ডাররা গ্যালারিতে গিয়ে বল খুঁজে আনতে থাকে। বেশ কয়েকবার এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি দেখতে বেশ মজার হলেও ফিল্ডারদের বারবার হেনস্থার শিকার হতে হয় এবং খেলার গতির বিঘ্ন ঘটে।
এই মুহুর্তে সারা বিশ্বে যা পরিস্থিতি, বিশেষ করে চিন, ইতালি এবং ইরানে মৃত্যুর সংখ্যা যে হারে বাড়ছে তার জেরে বাধ্য হয়েই বেশিরভাগ ক্রীড়াক্ষেত্রই বর্তমানে স্থগিত। যেগুলি চলছে তার মধ্যে বেশিরভাগই দর্শকশুন্য স্টেডিয়ামে। আপাতত মুলতুবি রয়েছে প্রচুর নির্ধারিত সিরিজ। পিছিয়ে যেতে চলেছে আইপিএলও। সব পক্ষেরই একটি বক্তব্য -- খেলাধুলা অপেক্ষা করতে পারে, মানুষের জীবন নয়। এই পরিস্থিতি খেতে খেলার জগৎ কবে আবার নিজের সুনির্দিষ্ট স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে পাবে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছে সারা বিশ্বের কোটি কোটি ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ।