টি টোয়েন্টি সিরিজে ৫-০ জেতার পর, ওয়ান ডে সিরিজে ০-৩ ফলাফলে হারতে হলো ভারতকে। প্রত্যেকটি ম্যাচেই শেষপর্যন্ত বেশ সুবিধাজনক ভাবেই ম্যাচ জিতেছে নিউজিল্যান্ড দল। গোটা সিরিজে বোলিং বিভাগ ভুগিয়েছে ভারতকে। ভারতীয় বোলিংয়ের মূল অস্ত্র বুমরা গোটা সিরিজে ছিল নিষ্ক্রিয়। সিরিজে একটিও উইকেট পাননি তিনি। শার্দুল ঠাকুর আর নভদীপ সাইনি উইকেট পেলেও রান খরচা করেছেন মুড়ি মুড়কির মতো। লেগস্পিনার চাহাল শুধুমাত্র আশার আলো ছিল ভারতীয় বোলিংয়ে।
বোলাররা পুরোপুরি হতাশ করলেও ব্যাটিংয়ে আশার আলো দেখছেন অনেকে। টপ অর্ডারে অনভিজ্ঞ দুই ওপেনার ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করতে পারেননি। বিরাট কোহলি ও প্রথম ম্যাচের পর থেকে ছন্দে ছিলেন না। এই অবস্থায় অসাধারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখান ভারতীয় মিডল এবং লোয়ার মিডল অর্ডার।
এর আগে ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে এবং ২০১৪ ও ২০১৬ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় ব্যাটিং ছিল মূলত টপ অর্ডার নির্ভর। টপ অর্ডার কোনো কারণে ভালো কিছু না করতে পারলে চাপ পড়ে যেত মিডল অর্ডারের ওপর। কিন্তু এই সিরিজে ভারতের মিডল অর্ডারের পারফরম্যান্স দেখে সকলে মনে করছেন সেই সমস্যা হয়তো মিটতে চলেছে।
চলতি সিরিজে মিডল অর্ডারে খেলানো হয়েছিল কেএল রাহুলকে। সাধারণত তিনি প্রথম তিনেই ব্যাটিং করে থাকেন। শ্রেয়স আইয়ার এবং তার পারফরম্যান্স মিডল অর্ডারে ভারতকে স্বস্তি দিচ্ছে। দরকারমতো খেলার ধরণ পরিবর্তন করে নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেন দুজনেই। প্রথম ওয়ান ডে তে ভালো শুরু হওয়ায় দুজনেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছিলেন। শেষ ওয়ান ডে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা তাড়াতাড়ি ফেরায় দেখে শুনে ব্যাটিং করলেন তারা। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান করেছেন শ্রেয়স আইয়ার। দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছেন রাহুল। তারা বাদে লোয়ার মিডল অর্ডারে মনীশ পান্ডে, রবীন্দ্র জাদেজারা যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন তাতে ভরসা দিয়েছেন। কিপিং এবং ব্যাটিং দু জায়গাতেই সাবলীল দেখাচ্ছে কে এল রাহুলকে। বিশেষজ্ঞদের মতে তাকে মিডল অর্ডারে খেলালে ২০২০ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম একাদশে কোনোভাবেই সুযোগ হবে না ঋষভ পন্থের।