আইপিএল খেলতে ইতিমধ্যেই আরব আমিরশাহি পৌছে গিয়েছে আইপিএলের আটটি দল। করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে প্রথম থেকেই প্লেয়ার সহ দলের সাপোর্টিং স্টাফেদের স্বাস্থ্য নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে বিসিসিআই। আরব পৌছে প্রত্য়েকটু দল নিজ নজ হোটেলে ৬ দিনের আইসোলেশনে রয়েছে। সেখানেই ৬ দিনে করোনা পরীক্ষা করা হবে সব প্লেয়ার সহ দলের সঙ্গে জড়িত সকলের। সেই করোনা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলেই মিলবে অনুশীলনে নামার অনুমতি। তাছাড়া গোটা আইপিএল চলাকালীন প্লেয়ারদের স্বাস্থ্যবিধির উপর নজর রাখতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বোর্ডের তরফে।
বিসিসিআইয়েরল তরফে আগেই বলা হয়েছে প্লেয়ারদের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন এই জৈব সুরক্ষা বলয়ের বাইরে যেতে পারবে না কোনও প্লেয়ার। এই জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইংল্যান্ডের কোম্পানি রেস্ত্রাটাকে। ইংল্যান্ডে আয়োজিত হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান সিরিজেও জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করেছে এই কোম্পানি। কিন্তু এই জৈব সুরক্ষা বলয়ের নিয়ম কোনও প্লেয়ার ভাঙছে কিনা তা দেখার জন্য অভিনব ব্যবস্থা নিচ্ছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। সকল প্লেয়ারের সঙ্গে থাকবে একটি চিপ ট্র্যাকার। যার মাধ্যমে প্লেয়ারদের গতি বিধির উপর নজর রাখা সম্ভব হবে। এই চিপটা ট্র্যাকার ব্যবহার করেই ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চারের জৈব সুরক্ষার নিয়ম ভাঙার খবর জানা যায়। নিয়ম ভাঙায় শাস্তিও হয়েছিল আর্চারের। আইপিএলের ক্ষেত্রেও নিয়ম ভাঙলে কড়া শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে প্লেয়ারদের।
আরও পড়ুনঃআবুধাবিতে বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছে কেকেআর, ভিতরের রূপ দেখলে অবাক হবেন আপনিও
আরও পড়ুনঃকে কতবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন, এক নজরে ১২ টি ফাইনালের কাহিনি
মোবাইল, ঘড়ি, চেন, বা শরীরের সঙ্গে যুক্ত কোনও কিছুর সঙ্গে চিপটিকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লিংক করা হবে। আর তার মাধ্যমেই প্লেয়ারদের যাবতীয় গতিবিধির উপর নজর রাখতে পারবে আয়োজকরা। এছাড়া হোটেল থেকে বেরোনা, একসঙ্গে বন্ধুদের সঙ্গে হোচেলের ভিতরে খেতে যাওয়া সব কিছুতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি ৫ দিন অন্তর সকল প্লেয়ারদেপ করা হবে করোনা পরীক্ষা। বর্তমানে আরব আমিরশাহির তোরজোর দেখলে বোঝায় উপায় নেই যে আইপিএলের আসর বসতে চলছে নাকি কোনও যুদ্ধ শুরু হতে চলেছে। ক্রিকেটে বিশেষজ্ঞ সহ প্লেয়াররা ঠিকই বলেছে এবারের আইপিএল সবার থেকে আলাদা, সব থেকে কঠিন। মাঠে ও মাঠের বাইরে সমান তালে চলবে যুদ্ধ।