পুজোর মধ্যে মহামারির মতো ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, ডাক্তাররা বলছেন ভিড়ে যাবেন না

  • ডেঙ্গুর পাশাপাশি পুজোর মধ্যে উপস্থিত আরও এক বিপত্তি - সর্দি-কাশি
  • রাজ্য জুড়ে বহু মানুষ ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কবলে পড়েছেন
  • খুসখুসে শুকনো কাশির সঙ্গে রয়েছে গলায় ব্যথা, শ্বাসনালীতে অস্বস্তি
  • ডাক্তাররা বলছেন, সংক্রমণ ঠেকাতে ভিড় এড়িয়ে চলাই ভালো

amartya lahiri | Published : Oct 5, 2019 12:38 PM IST

রাজ্য়ে এখনও ডেঙ্গুর হুমকি রয়েছে। কিন্তু পুজোর মধ্যে কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে এসে উপস্থিত আরও এক বিপত্তি - সর্দি-কাশি। পুজোর মুখেই রাজ্য জুড়ে বহু মানুষ ভাইউরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণে খুসখুসে শুকনো কাশির কবলে পড়েছেন। সেই সঙ্গে রয়েছে গলায় ব্যথা, শ্বাসনালীতে অস্বস্তি। আর ডাক্তাররা বলছেন, ঠাকুর জেখার ভিড়ে এই সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়াতে পারে, তাই ভিড় এড়িয়ে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।

শুধু পুজোর আগ দিয়ে নয়, পুজোর দিনগুলিতেও প্রতি বেলায় ডিগবাজি খাচ্ছে আবহাওয়া। কখনও প্রবল বর্ষণে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। আবার যখন বৃষ্টি থাকছে না তখন তীব্র গরম। আর এই খামখেয়ালী প্রকৃতি, তাপমাত্রার ওঠানামাতেই পোয়াবারো অ্যাডেনো, রাইনো ইত্যাদি ভাইরাস ও স্ট্রেপটোককাস গোত্রের ব্যাকটেরিয়াদের। অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে তারা। ডাক্তাররা বলছেন, তাপমাত্রার ওঠানামাতে গলা বা নাসারন্দ্রে অ্যালার্জেটিক প্রতিক্রিয়া হয়, যা আকৃষ্ট করে এই ভাইরাস ব্যাকটেরিয়াদের। আর তার কারণেই এই বছর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সাধারণ সর্দি-কাশি।

আক্রান্তদের বেশিরভাগই শিশু। কারণ তাদের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা কম। সেই সঙ্গে গত কয়েক বছরে বায়ু দূষণ এতটাই বেড়েছে যে শিশুদের শ্বাসয়ন্ত্রের অবস্থা এমনিই খারাপ হয়ে থাকে। পুজোর মরসুমে বাজি ইত্যাদির ধোঁয়াতে অবস্থা আরও খারাপ হতে চলেছে বলে আশঙ্কা ডাক্তারদের।

এই সর্দি-কাশির প্রতিশেধক হিসেবে প্রাথমিক ভাবে অ্য়ান্টি অ্যালার্জিক কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে। আর যদি দেখা যায় থুতুর রঙ বদলে গিয়েছে, তাহলে অ্যান্টি বায়োটিক খাওয়া ছাড়া গতি নেই। তবে নিজে থেকে ওষুধ খাওয়াটা ঠিক নয়। ডাক্তার দেখিয়ে তবেই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমণ আটকাতে পুজোর ভিড়ে না যাওয়াই ভালো বলে মনে করছেন চিকিৎকরা। কিন্তু, পুজোর সময় প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখা হবে না তাও কি হয়? ডাক্তারবাবুদের পরামর্শ যদি একান্তই ভিড়ের মধ্যে ঠাকুর দেখতে হয়, তাহলে মুখে দূষণ ও সংক্রমণ প্রতিরোধী মাস্ক পরতে হবে। এর পাশাপাশি সঙ্গে টিস্যু রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা।     

 

Share this article
click me!