এই পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি এটি কেবল একটি পুজোই নয়, এটি বাংলার দুর্গা পূজার একটি মুখ যার রাজনৈতিক মানচিত্রেও এক বিশাল ইতিহাস রয়েছে। প্রশাসন দর্শক প্রবেশ বন্ধ করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁরা রীতিমত হতাশ বলে জানান পুজো কমিটির সদস্যরা। হতাশা প্রকাশ করেছেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির সভাপতি সজল ঘোষও। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এই পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বন্ধ করে দেওয়া হল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো। সপ্তমীর রাতেই প্রবল জনস্রোত। এই প্রথম ভিড়ের ধাক্কায় বন্ধ করে দেওয়া হল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় দুর্গাপুজো যা কয়েক দশক ধরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
এই পুজো কমিটির সদস্যদের দাবি এটি কেবল একটি পুজোই নয়, এটি বাংলার দুর্গা পূজার একটি মুখ যার রাজনৈতিক মানচিত্রেও এক বিশাল ইতিহাস রয়েছে। প্রশাসন দর্শক প্রবেশ বন্ধ করার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তাঁরা রীতিমত হতাশ বলে জানান পুজো কমিটির সদস্যরা। হতাশা প্রকাশ করেছেন সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির সভাপতি সজল ঘোষও। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এই পুজো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের নিজস্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট রয়েছে। প্রদীপ ঘোষ, একসময় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ছিলেন। পরে তৃণমূল এবং বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপরে আবার কংগ্রেসে যোগদান করেন। এই পূজা কমিটির দীর্ঘদিনের সভাপতি ছিলেন। তাঁর ছেলে সজল ঘোষ ২০২১ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, ওয়ার্ড কাউন্সিলরও ছিলেন সজল ঘোষ। তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট এই পুজো কমিটির।
চলতি বছরে ৮৭ তম বর্ষে এক অন্য রকম ভাবনা নিয়ে পুজোর প্রস্তুতি শুরু করে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার বা লেবুতলা পার্ক। গত দুই বছরের তুলনায় এবছরের দুর্গোৎসবে অন্যরকমের চমক অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীদের জন্য বলে জানানো হয়েছিল। চলতি বছরে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের থিম 'স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব'। চলতি বছরে স্বাধীনতা ৭৫ তম উদযাপন বর্ষে স্বাধীনতার প্রতিটা দিক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছিল লেবুতলা পার্ক।
সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের সভাপতি সজল ঘোষ জানিয়ে ছিলেন, চলতি বছরে 'স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব' থিমের মূল আকর্ষণ হল লাইট অ্যান্ড সাউন্ড। পুজোর বাজেটও গত বছরের তুলনায় বেশ কয়েকগুণ বেড়েছে। সরকারি নির্দেশিকা মেনে পরিবেশ সচেতনতা ও কোভিডের কথা মাথায় রেখেই পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। গত দুবছর ধরে যেভাবে মহামারিতে পুজো হয়েছে সেগুলির সবই ব্যবস্থা করা হবে। তবে ভিড় যে সামলানো যায়নি, তা পুলিশের সিদ্ধান্তেই স্পষ্ট।
স্বাভাবিকভাবেই সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো দেখতে প্রবল ভিড় হয় সপ্তমীর সন্ধেবেলা। দিল্লির লালকেল্লার আদলে মণ্ডপ তৈরি হয়েছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে। ভিড় সামলাতে মণ্ডপে দর্শকের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন-
পটাশপুরের পাঁচেটগড় রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর সঙ্গে কীভাবে জড়িয়েছিলেন মোঘল সম্রাটরা?
সাদা রঙের সিংহ, তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা প্রতিমা, বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে দুর্গাপুজোয় পূজিতা হন দুর্গার দুই সখীও
‘বর্গী এল দেশে’, আর সেই বর্গীদের রুখে দিলেন রানি জানকী, তিনিই শুরু করলেন মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো