বিদ্যাসাগর মূর্তিভাঙা দিয়ে শুরু হয়েছিল যে নৈরাজ্য তার জের কাটছে না কিছুতেই। মঙ্গলবার অমিত শাহের রোড শো এর পরে যে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল কলকাতা শহরে, তারই মাশুল দিচ্ছে রাজ্য।
বুধবারই ঘোষণা হয় জারি হচ্ছে ৩২৪ ধারা। ছাঁটা হবে প্রচারের সময়। এবার আবারও ঘড়্গহস্ত কমিশন। এবার সরিয়ে দেওয়া হল আর্মহাস্ট স্ট্রিট থানার ওসি এবং ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও-কে৷ মূ্র্তি ভাঙার মূল মাথা কারা, তা খতিয়ে দেখার জন্য গঠন করা হল সিট৷ ডিসি নর্থের তত্ত্বাবধানে ছ’জন সদস্য ওই ঘটনার তদন্ত করবেন৷
কমিশন থেকে চিঠি দিয়ে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয় ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিঠুন কুমার দে ও আর্মহাস্ট স্ট্রিট থানার ওসি কৌশিক দাশ কোনও নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত ভোটের আগেই ১০ মার্চ একই সঙ্গে কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারকে সরিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কলকাতার সিপি অনুজ শর্মার জায়গায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অতিরিক্ত ডিজি রাজেশ কুমারকে কলকাতার নতুন নগরপাল পদে আনা হয়েছিল। আর বিধাননগরের সিপি জ্ঞানবন্ত সিং-কে সরিয়ে রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি ও আইজি নটরাজন রমেশবাবুকে আনা হল। বিধাননগরের আর এক পুলিশকর্তা এয়ারপোর্ট ডিভিশনের ডিসি আভারু রবীন্দ্রনাথকেও বদলি করেছিল কমিশন। তাঁকে বীরভূমের এসপি পদে পাঠানো হয়েছিল। কলকাতা সশস্ত্র পুলিশের থার্ড ব্যাটেলিয়নের ডিসি শ্রীহরি পান্ডেকে করা হয়েছিল ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার সুপার। অনুজ ও জ্ঞানবন্তকে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজে রাজ্য সরকার ব্যবহার করতে পারবে না বলেও কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল।
এখানেই শেষ হয়নি। বিস্তর জলঘোলা হয়েছে দফায় দফায়। সবচেয়ে বেশি নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয় গত বুধবার। কমিসান সিআইডি অধিকর্তা পদ থেকেও রাজীব কুমারকে সরিয়ে দিল্লি তলব করে।সরানো হয় স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে। ভোট শুরু হতে বাকি আরও ৪৮ ঘণ্টা। আর কী মাশুল দিতে হবে রাজ্যকে, সময় বলবে।