একটি সামান্য উপনির্বাচনকে ঘিরে রাজ্যে যে নজিরবিহীন নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভাটপাড়া উপনির্বাচনের পরবর্তী হিংসায় আক্ষরিক অর্থে থর থর করে কাঁপছে ব্যারাকপুর অঞ্চল। সৌজন্যে অর্জুন সিং এবং মদন মিত্র দ্বৈরথ। গোটা এলাকায় জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। কিন্তু তারপরেও আইন ভঙ্গ করে চলছে ব্যাপক বোমাবাজি ,বন্দুকবাজি। বাংলার এই আপাত শান্ত জনপদ যেন এখন সাক্ষাৎ 'ওয়াসিফুর'।
কার্যত ঘাম ছুটে গিয়েছে প্রশাসনের পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। তবে এবার ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে
রাঘব বোয়ালকে জালে আনতে চাইছে নবান্ন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন, অর্জুন সিংহকে গ্রেফতার করতে। তাঁর গ্রেফতারি ব্যারাকপুর অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন।
তবে কম যান না দুধে রাজনীতিবিদ অর্জুন সিংহ। ঘটনার পূর্বাভাস পেয়ে সরাসরি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তিনি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা চাল দিলেন প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক। শীর্ষ আদালতের কাছ থেকে আগাম জামিন চাইছেন অর্জুন। তাঁর দাবি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হতে পারে।
আগামীকাল লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল তার আগে কিছুতেই গ্রেফতার হওয়া যাবে না খুব ভালোভাবেই জানেন অর্জুন। গ্রেফতারির সম্ভাবনা এড়াতেই তাই আগেভাগেই রক্ষাকবজ নিয়ে রাখতে চাইছেন অর্জুন। প্রসঙ্গত এ বছর, লোকসভা ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন অর্জুন সিংহ। বিজেপি থেকে তাঁকে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের টিকিট দেওয়া হয়
ইতিমধ্যে একটি উপনির্বাচন জরুরি হয়ে পড়ে ভাটপাড়ায়। এই উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনো তাস মদন মিত্রের বিরুদ্ধে বিজেপি থেকে দাঁড় করানো হয় অর্জুন সিংহের ছেলে পবন সিংহ-কে। ভাটপাড়া কেন্দ্রে পবন সিংহ-কে জেতাতে মরিয়া অর্জুনই এই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন বলে তৃণমূলের দাবি।
প্রসঙ্গত এই উপনির্বাচনটি ছিল লোকসভা ভোটের শেষ দফার দিনে। সারা রাজ্যের সমস্ত হিংসাত্মক ঘটনাকেএ ছাপিয়ে গিয়েছিল কাঁকিনাড়ার নৈরাজ্য। ৭২ ঘণ্টা পেরিয়েও সেই নৈরাজ্য বেড়েছে বই কমেনি।