ভোট গ্রহণ পর্ব মিটেছে। এক্সিট পোল বলছে হই হই করে ফিরছেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাতেও বিজেপির শক্তিবৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলেছে। আর তাতেই ক্ষিপ্ত তৃণমূল ভোট পরপর্তী বাংলায় নরসংহার চালাতে পারে বলে আশঙ্কা।
রবিবার, সাত দফার ম্যারাথন ভোট গ্রহণ পর্ব মিটেছে। সন্ধ্যা থেকেই প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সমীক্ষা সংস্থার বুথ পেরত সমীক্ষার ফলাফল। সংখ্যার তারতম্য হলেও দুটি বিষয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। ক্ষমতায় ফিরছেন নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলায় মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ৪২-এ ৪২ আসন পাওয়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না। বরং অনেকটাই শক্তি হারাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই হতাশা থেকেই ভোট পরবর্তী বাংলায় টিএমসি-র গুন্ডা বাহিনী নরসংহার চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিজেপি।
রবিবার সন্ধ্যাতেই শঙ্কা প্রকাশ করে বিজেপি নেতারা নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে। তাদের দাবি, নির্বাচনী বিধি যতদিন লাগু রয়েছে, ততদিন অন্তত পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রেখে দেওয়া হোক। নাহলে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, তাঁদের উপর বেনজির আক্রমণ নেমে আসতে পারে।
দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর থেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, তাঁদের আশঙ্কা ভোট মিটতেই বাংলায় তৃণমূল 'নরসংহার' শুরু করে দেবে। ভোটগ্রহণ পর্বের শেষ দিনেও পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, বোমাবাজি, রিগিং-এর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও অভিযোগ করেন, ভোটারদের হুমকি দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের অন্তত ছয়টি রাজ্যে বেলাগাম সন্ত্রাস চলেছে ভোটের সময়। কাজেই নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তৃণমূলকে যাঁরা ভোট দেননি, তাঁদের উপর আরও সংঘবদ্ধ আক্রমণের শিকার হতে পারেন সাধারণ মানুষ, এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের।