কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা জনতা দলের প্রধান মুখ এইচডি কুমারস্বামী মঙ্গলবার দিল্লিতে বিরোধীদের আলোচনা সভায় যোগ দিচ্ছেন না। নির্বাচন পরবর্তী সমীক্ষা যখন দেখাচ্ছে কর্ণাঁটকে বিজেপি ঝড় ধুয়ে দিতে পারে কংগ্রেস এবং জনতা দলের জোট, তখন কুমারস্বামীর সিদ্ধান্তে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে জনতা দলের অন্দরেই।
একই সঙ্গে কংগ্রেস ও জনতাদলের জোটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন সাত বারের এমএলএ তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মন্ত্রী আর রোশন বাইগ। কুমারস্বামীর জোট সিদ্ধান্তকে একহাত নিয়েছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সি ধারা মাইয়াও।
কর্ণাটকের মুসলিমদের মধ্যে কংগ্রেসের অতি পরিচিত মুখ বাইগ এদিন এক সর্বভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন , এই মুহূর্তে মুসলিমদের কংগ্রেস এর বাইরে অন্য কোন দলের কথা ভাবা উচিত এমনকি জনতা দল ও স্বাগত।
তাঁর দাবি, "মুসলিমরা কংগ্রেসের ভোট ব্যাংক নয় তাই তাদের ব্যাপারে কংগ্রেসের ঔদাসীন্য রয়েছে মুসলিমরা প্রয়োজন পড়লে বিজেপিকে ভোট দেবে।"
বলাই বাহুল্য এই মন্তব্যের পর কংগ্রেসের অন্দরে ঝড় বয়ে গিয়েছে বাইককে ও ইতিমধ্যেই শোকজ করা হয়েছে। পার্টির তরফে তাঁকে ৭ দিনের মধ্যে উত্তর জমা দিতে বলা হয়েছে।
তবে এক বাক্যে সকলেই মেনে নিচ্ছেন নির্বাচনের সমীক্ষা যদি ঠিক হয় তবে, কর্নাটকের জোট সরকারের সমূহ বিপদ।
ইতিমধ্যেই কর্নাটকের উপনির্বাচনের আরো বেশ কয়েকটি সিটকে পাখির চোখ করেছে বিজেপি। আগামী বৃহস্পতিবার দুটি বিধানসভা আসন এ কর্ণাটকে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। সেই আসন দুটি যদি বিজেপি পায় তাহলে বিজেপির আসন সংখ্যা কর্ণাটক বিধানসভা দাঁড়াবে ১০৬। ইতিমধ্যেই দু'জন স্বাধীন বিধায়কের সাহায্য পাচ্ছে তাঁরা। ২২৪ সিটের বিধানসভায় জোটের ক্ষমতাকে ধুয়ে দিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার মাত্র ৫ টি সিট। অনেকে আবার এও বলছে নিজেদের অস্তিত্ব ধরে রাখতে জনতা দল বিজেপিরও হাত ধরতে পারে। কুমারস্বামীর আলোচনায় না যাওয়া কি তারই ইঙ্গিত, সময় বলবে।