নিবার্চনের মধ্য়ে কংগ্রেস নেতা স্য়াম পিত্রোদার মন্তব্য়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার শিখ বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে পিত্রোদা এমন মন্তব্য করেন যা নির্বাচনী প্রচারের মাঝে কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে। শুক্রবার তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাহুলই বললেন, এই মন্তব্য়ের জন্য পিত্রোদার ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বৃহস্পতিবার একটি সাক্ষাৎকারে স্যাম পিত্রোদা বলেন, "আপনারা গত পাঁচ বছরে কী কাজ করেছেন সেটা বলুন। ১৯৮৪-তে যা হয়েছে হোক। অতীতে না গিয়ে বলুন এখন আপনারা কী করেছেন।" শিখ বিরোধী দাঙ্গা নিয়ে পিত্রোদার এই যা হয়েছে হোক মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় জোর সমালোচনা।
১২ মে, নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় ভোট দেবে দিল্লি ও হরিয়ানার মানুষ। আর তার ঠিক আগেই স্যাম পিত্রোদার এই মন্তব্যে চাপে পড়েছেন রাহুল। তাই ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে রাহুল এই ঘটনাকে দুঃখজনক বলে কংগ্রেস প্রধান ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন।
পোস্টটিতে রাহুল লেখেন, "আমি মনে করি এর বিচার হওয়া উচিত। ১৯৮৪-এর দুঃখজনক ঘটনার জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের অবশ্য়ই শাস্তি হওয়া উচিত। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। আমার মা সনিয়া গান্ধী ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা প্রত্য়েকেই জানি, ১৯৮৪-এর ঘটনা ভয়ঙ্কর ও দুঃখজনক ছিল। স্যাম পিত্রোদা যা বলেছেন তার কোনও ভিত্তি নেই এবং তা মোটেই সমর্থনযোগ্য নয়। আমি ওর সঙ্গে সরাসরি এই বিষয়ে কথা বলব। ওকে এই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে।"
অন্যদিকে স্যাম পিত্রোদা এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, তাঁর মন্তব্যকে ভুল ভাবে উপস্থাপিত করা হয়েছে।
কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরেজওয়ালা দলের প্রত্যেককে শব্দচয়নের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, এক জন ব্যক্তি কী বলছেন, বা তাঁর মন্তব্য কোনও ভাবেই দলের প্রতিনিধিত্ব করে না।
উল্লেখ্য বৃহস্পতিবারের সাক্ষাৎকারে বিজেপি-র ২০১৪-র নির্বাচনী ইস্তহার প্রসঙ্গে স্যাম পিত্রোদ বলেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কাজের সুযোগ করে দেবেন। এভাবেই ভোট অর্জন করেছিলেন। ২০০ স্মার্টসিটি তৈরির কথাও বলেছিলেন। সেসব কোথায় গেল। কিছুই তো করেননি।