চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরেএকটানা সুরের জাঁদুতে সকলকে মোহিত করেছেন অরিজিৎ সিং। যেই কনসার্ট নিয়ে এত উত্তেজনা এখনও চলছে সকলের মুখে মুখে এবার গোটা কলকাতাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং। কিন্তু কেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সুরের জাঁদুতে গোটা তিলোত্তমা মাতিয়ে দিলেন অরিজিৎ সিং। জল্পনা-আলোচনা সমস্ত পেরিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার ওয়াটার থিম পার্ক অ্যাকোয়াটিকাতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল অরিজিতের কনসার্ট। সেই রেশ যেন এখনও কাটছে না। অরিজিতের সুরেলা সফরেও এখন মত্ত কলকাতাবাসী। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই মাথায় গেরুয়া পাগড়ী এবং কালো পোশাক পরে গিটার হাতে একের পর এক সুপারহিট গান গেয়েই চলেছেন অরিজিৎ। চার ঘন্টারও বেশি সময় ধরে একটানা সুরের জাঁদুতে সকলকে মোহিত করেছেন অরিজিৎ সিং। যেই কনসার্ট নিয়ে এত উত্তেজনা এখনও চলছে সকলের মুখে মুখে এবার গোটা কলকাতাবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং। কিন্তু কেন, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন অরিজিৎ সিং। যেখানে তিনি শো নিয়ে লিখেছেন, কলকাতা, আমি ভীষণ ভাবে দুঃখিত যে আপনাদের এক কিলোমিটার দূরে গার্ড়ি পার্ক করে অনুষ্ঠান দেখতে আসতে হয়েছে। তবে এতটাই বেশি ভিড় ছিল যে টোটো রিক্সা রাখা সম্ভব ছিল না। আমি দুঃখিত এই কারণে যে এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং মশার কামড় আপনাদের সহ্য করতে হয়েছে। আমি দুঃখিত যে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক বহু মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, যেন এই অধিকার তাদের রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, কনসার্টে যাওয়া বহু মানুষ হাতের ব্যান্ডের বিষয়টি বুঝতে না পারায় ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি, তার জন্যও আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু আপনার যেভাবে আমাকে ভালবাসা দিয়েছেন, তাতে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। আমার অনেক অনেক ভালবাসা। আমি চেষ্টা করব পরবর্তীতে যাতে আরও অনেক ভাল অনুভূতি দিতে পারি। সকলে ভাল থেকো।
অরিজিৎ সিং ওয়ান নাইট ট্যুর অনলি কলকাতা অনুষ্ঠানে যে উপচে পড়া ভিড় এবং গোটা অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাই কলকাতা পুলিশের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। যদিও তা ভালভাবেই মিটে গেছে। কনসার্ট চলাকালীব যাতে কোনও বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় তার জন্য অনুষ্ঠানস্থলে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন কলকাতা পুলিশের ৬ জন ডিসি এবং ১১ জন এসি পদমর্যাদার অফিসার। কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি বিধাননগর কমিশনারেটের নিউটাউন ও ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ রাস্তায় নিরাপত্তা ও পার্কিংয়ের গোটা বিষয়টি দেখাশোনা করেছেন। এবং অ্যাকোয়াটিকায় ৪৫০ জন পুলিশ আধিকারিক ও ৩০০ জন বাউন্সার ছিলেন। এছাড়া পার্কিংয়ের দেখাশোনার জন্য ২৫০ জন পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছিল। অ্যাকোয়াটিকা থেকে ১ কিলোমিটার দূরে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার হাসপাতাল, আইডিয়াল ভিলা, সল্টলেকের লোহাপুল ও থাকদাড়িতে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে পেটিএম ইনসাইডার-এর একজন আয়োজক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, পার্কিংয়ে কিছু সমস্যা হয়েছিল। ভলান্টিয়ারের কথা সেই কারণেই লিখেছেন।