দিলখুশ হল এমন এক ছবি যেখানে চার বয়সের জুগলের কাহিনি দৃশ্যায়িত হয়েছে। এই চার জুগলের জীবনে ভালোবাসার আসা-যাওয়া এবং তার সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ওঠা-নামা এখন মুখ্য ।
দিলখুশ নিয়ে প্রবল-ই আশাবাদী পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর মতে, দিলখুশ শুধুমাত্র একটা প্রেমের কাহিনি নয়, এখানে চার-চারটি কাহিনি হাত ধরাধরি করেছে একসঙ্গে। প্রতিটি চরিত্রের ওঠা-নামা এমন এক আকর্ষণ তৈরি করেছে যে মানুষ এর সঙ্গে বাস্তব জীবনের অনেক মিল খুঁজে পাবেন। ট্রেলার লঞ্চ থেকে যা জানা যাচ্ছে যে ৪ জুগল। এদের কেউ বিশাল অট্টালিকার বাসিন্দা। কেউ আবার কোনওভাবে দিন-আনা দিন খাওয়ার মতো পরিস্থিতি। কেউ সদ্য কৈশোরে পা রেখে ভালোবাসার দোটানায় নিজে হতবুদ্ধি। কেউ আবার সদ্য কৈশরপ্রাপ্তির সুখাভিলাসে প্রেমে আবেশে জড়িয়ে। কেউ সমাজের কেটে দেওয়া গণ্ডি পার করে নিজেকে সঁপে দিতে চাইছেন প্রেমের আবেশে। আবার কেউ ষাট পেরিয়ে প্রৌঢ়ত্বের আড়ম্বরেও ডেটিং অ্যাপে খুঁজে পাচ্ছেন নতুন নির্ভরতা। এই সব ভালোবাসার পূর্ণতা কোথায়! ভালোবাসার বাহুডোর যখন দৃঢ় হয়ে ওঠে তখন সম্পর্কের ভিতগুলো কেমন করে নড়ে ওঠে- সেই কাহিনি মেলে ধরেছে দিলখুশ। ভালোবাসার পূর্ণতার লগ্নে আচমকাই যেন হাজির হয়ে সম্পর্কের এক কঠিন পরিণতি, কেউ নিজেকে কলঙ্কিত করেও ভালোবাসাকে জয়ী করতে উদ্যত হয়ে ওঠেন, কেউ আবার রাগ-ক্রোধের বশে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। বলতে গেলে দিলখুশ ভালোবাসার চার কাহিনিকে এক অন্য আঙ্গিকে সকলের সামনে মেলে ধরেছে |