নচিকেতা মানে শুধু একটা বিনোদন নয়, একটা জীবনবোধ যা মানুষকে ভাবায় জীবন নিয়ে, জীবন দর্শন নিয়ে। যে জীবন দর্শনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট।
সময়ের থাবা শরীর জুড়ে স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্রমশ। যৌবনের যে দূত নব্বই-এর দশকের গেয়ে উঠেছিলেন অন্তবিহীন পথ চলাই জীবন.... সেই জীবনমুখী গায়ক আজ তিন দশকের সফরনামা পূর্ণ করেও সমান ঝাঁঝালো, সমান প্রতিবাদী। তবে, তাঁর এই বর্তমান চারিত্রিক গুণাগুণের সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে এক উপলদ্ধি। সেই উপলদ্ধি হতাশার মতো শোনাতে পারে, হতে পারে এ কেমন কথা বলছেন গায়ক নচিকেতা চক্রবর্তী! কিন্তু, নচি মনে করছেন গান গেয়ে সত্য সত্যি সমাজ বদলানো যায় না। এখন মনে হচ্ছে তিনি তাঁর সেই জীবনমুখী প্রতিবাদী গানে সমাজের বুকে রোপিত হয়ে থাকা ঘাসের আগাটাও নাকি ছিড়ে ফেলে দিতে পারেননি। কিন্তু, এই উপলদ্ধির বাইরে বেরিয়ে এসে নচি জানিয়েছেন, সমাজ আজ আরও দুর্বিনীত, দুর্নীতিগ্রস্থ এবং বিষবৃক্ষ। যে বিষবিক্ষের ছায়ায় থাকা সকলেই কোনও না কোনওভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। যার পরিণাম শিক্ষাক্ষেত্রে মতো দুর্নীতির পর্দাফাঁস।