রাজ কুন্দ্রার প্রায় ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। শিল্পা শেট্টির জুহুর একটি ফ্ল্যাটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রাজ কুন্দ্রার প্রায় ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি। শিল্পা শেট্টির জুহুর একটি ফ্ল্যাটও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট অনুযায়ী রাজ কুন্দ্রার সমস্ত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল মুম্বইয়ের জোনাল অফিস। এই ৯৮ কোটির সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে তাঁরা যে ফ্ল্যাটে থাকেন সেই ফ্ল্যাট সহ, পুনের বাংলো, ইকুইটি শেয়ার, ইত্যাদি।
মেসার্স ভ্যারিয়েবল টেক পিটিই লিমিটেড, প্রয়াত অমিত ভরদ্বাজ, অজয় ভরদ্বাজ, বিবেক ভরদ্বাজ, সিম্পি ভরদ্বাজ, মহেন্দর ভরদ্বাজ এবং এমএলএম এজেন্টের বিরুদ্ধে মহারাষ্ট্র পুলিশ এবং দিল্লি পুলিশের কাছে নথিভুক্ত হওয়া একাধিক এফআইআর-এর ভিত্তিতে ইডি তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ করা হয়েছে যে তারা বিটকয়েনের আকারে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ রিটার্নের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে (২০১৭ সালেই ৬,৬০০ কোটি টাকা মূল্যের) বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেছিল।
সংগৃহীত বিটকয়েনগুলি বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য ব্যবহার করার কথা ছিল এবং বিনিয়োগকারীদের ক্রিপ্টো সম্পদে বড় অঙ্কের একটি রিটার্ন পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রোমোটাররা বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতারণা করে এবং অস্পষ্ট অনলাইন ওয়ালেটে অর্জিত বিটকয়েনগুলি লুকিয়ে রেখেছে।
এই তদন্তে জানা গিয়েছে যে রাজ কুন্দ্রা ইউক্রেনে বিটকয়েন মাইনিং ফার্ম স্থাপনের জন্য মাস্টারমাইন্ড এবং গেইন বিটকয়েন পঞ্জি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অমিত ভরদ্বাজের কাছ থেকে ২৮৫টি বিটকয়েন পেয়েছিলেন। এই বিটকয়েনগুলি অমিত ভরদ্বাজ নির্দোষ বিনিয়োগকারীদের ঠকিয়ে সংগ্রহ করেছিল। তবে যেহেতু চুক্তিটি বাস্তবায়িত হয়নি, কুন্দ্রার কাছেএখনও ২৮৫টি বিটকয়েন রয়েছে এবং এটির মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকারও বেশি। এর আগে, এই মামলায় একাধিক তদন্ত অভিযান চালানো হয় এবং গত বছর ৩ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এবার রাজ কুন্দ্রার মোট ৯৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি।