ইয়াদ আয়েঙ্গে য়ো পল- তামাম ভারতকে কাঁদিয়ে বিদায় কেকের, জেনে নিন তাঁর জীবন সম্পর্কে

দিল্লির যৌবন, মুম্বাইয়ের খ্যাতি এবং কলকাতার শান্তি, চিরকালের জন্য। কে কে প্রথম থেকেই শান্তির পূজারী ছিলেন। স্টুডিওটি তাঁর কাছে উপাসনার থেকে কম ছিল না।

Parna Sengupta | Published : May 31, 2022 8:17 PM IST / Updated: Jun 01 2022, 02:20 AM IST

গানে গানে বলেছিলেন ছোটিসি হ্যায় জিন্দেগী..সত্যিই কি এইটুকুই সফর ছিল তাঁর? মানছেন না ভক্তরা। এখনও মানছেন না। মানার কথা কি আদৌও? জীবনের প্রতিটি বিচ্ছেদ ব্যথায় তাঁর গান, প্রত্যেক হৃদয় মোচড়ে তাঁর গলার সেই আবেদন। তড়প তড়প কে ইস দিল সে--সলমনের সঙ্গে সেদিন কেঁদেছিল গোটা ভারত। গলা মিলিয়েছিল কেকের সঙ্গে। সঞ্জয় লীলা বনশালীর হাম দিল দে চুকে সনম ছবির এই একটা গানে পাগলপারা হয়েছিল সঙ্গীত প্রেমীরা। আর সেই তিনি এইভাবে ফাঁকি দিয়ে চলে যেতে পারলেন ? যাওয়ার তো বয়সও হয়নি কেকে..

কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ। এই বড়সড় নামটা সেভাবে কেউ জানত না। দরকারও পড়েনি। কেকে নামেই তখন দেশ কাঁপাচ্ছেন তিনি। শুধু কি হিন্দি ? তাঁর গলায় প্রাণ পেয়েছে বাংলা, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়ার অসংখ্য গান। তবে এই যাত্রা শুরু কবে, কোথায়? কীভাবে উত্থান কেকের? চলুন জেনে নিই এক নজরে

Latest Videos

মৃত্যুর সময় বলিউড কাঁপানো এই গায়কের বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি হিন্দিতে ২০০টিরও বেশি গান গেয়েছেন। হাম দিল দে চুকে সনম ছবিতেও গান গেয়েছেন তিনি।

১৯৭০ সালের ২৩ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এই গায়ক। কে কে হিন্দি ছাড়াও মারাঠি, বাংলা, গুজরাটি, তেলেগু, মালয়ালম, কন্নড় এবং তামিল গানে তার কণ্ঠ দিয়েছেন। তার মিষ্টি কন্ঠ সবার মন ছুঁয়ে যায়। 

কে কে দিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুল থেকে তার স্কুলিং শেষ করেন এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিরোরি মাল কলেজ থেকে অনার্স গ্রাজুয়েট হন। চলচ্চিত্রে ব্রেক পাওয়ার আগেও কেকে প্রায় ৩৫০০টি জিঙ্গেল গেয়েছিলেন। 

স্নাতক শেষ করার পর, কে কে মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ হিসেবে চাকরিও নেন। যদিও তার ভাগ্যে লেখা ছিল বলিউডে আসা। এমন পরিস্থিতিতে মাঝপথে চাকরি ছেড়ে বলিউডে এসে বিনোদন জগতে জনপ্রিয়তা পান তিনি। 'হাম দিল দে চুকে সনম' ছবির 'তড়প তড়প কে ইস দিল সে' গানের মাধ্যমে বলিউডে বড় ব্রেক পেয়েছিলেন কেকে। এই গানের পর তিনি সেলিব্রিটি তকমা পেয়ে যান। 

তাঁর প্রধান গানের মধ্যে রয়েছে 'ইয়ারন', 'পাল', 'কোই কাহে কেহতা রাহে', 'ম্যায় দিল সে কাহা', 'আওয়ারাপান বানজারাপন', 'দস বাহানে', 'আজব সি', 'খুদা জানে' এবং 'দিল ইবাদত', 'তু হি মেরি শাব হ্যায়'-এর মতো গান।

এছাড়াও, তিনি ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের সমর্থনে 'জোশ অফ ইন্ডিয়া' গানটি গেয়েছিলেন। পরে, কে কে সঙ্গীত অ্যালবাম 'পাল' দিয়ে গায়ক হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

১৯৯৯ সালে ছেলেবেলার প্রেমিকা জ্যোতিকে বিয়ে করেন কেকে। বাড়িতে স্ত্রী জ্যোতি ছাড়াও তাদের দুই সন্তান পুত্র নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথ এবং কন্যা তামরা কুন্নাথকে রেখে গেছেন।

দিল্লির যৌবন, মুম্বাইয়ের খ্যাতি এবং কলকাতার শান্তি, চিরকালের জন্য। কে কে প্রথম থেকেই শান্তির পূজারী ছিলেন। স্টুডিওটি তাঁর কাছে উপাসনার থেকে কম ছিল না। তিনি আরও বলতেন, 'রান্নার ধর্ম জানলে গানের প্রকৃত উপাসক হওয়া যায়। জীবনের সবচেয়ে আন্তরিক এবং সৎ কাজ হল রান্না করা। এবং আরেকটি গান। আমার জন্য মিউজিক স্টুডিও হল একটি রান্নাঘর যেখানে আমি আমার স্বাদে সবকিছু যোগ করে একটি গান রান্না করি। এটাই আমাকে আরাম দেয়।

Share this article
click me!

Latest Videos

Live: মাদারিহাটে রাহুল লোহারের সমর্থনে প্রচার সুকান্তর, দেখুন সরাসরি
জাদু দেখলেন Tamannaah! #bollywood #shorts #shortsyoutube #shortsviral #viralshorts #shortsfeed
'বারবার কেন হিন্দুদের উপর আক্রমণ?' জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে গর্জে উঠে যা বললেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari Live: মেদিনীপুর শহরে নির্বাচনী প্রচার শুভেন্দুর, দেখুন সরাসরি
‘ফিরহাদ হাকিমকে ছাড়বো না’ তীব্র হুঙ্কার শুভেন্দুর! দেখুন কী বললেন | Suvendu Adhikari BJP