৮০ মিনিট পর্যন্ত দেখে মনে হচ্ছিল নিষ্ফলা হতে চলেছে ম্যাচের ভাগ্য। কিন্তু শেষ ১০ মিনিটে ডিফেন্ডিং ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের ঝড়ে কার্যত উড়ে গেল হাঙ্গেরি। দেশের হয়ে ম্যাচে জোড়া গোল করে ইতিহাস তৈরি করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। টপকে গেলেন ইউরোর ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্কোরার ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনিকে। এদিন পর্তুগালের অপর গোলটি করেন রাফায়েল গুরেইরো। এফ গ্রুপ এবারের ইউরোর 'গ্রুপ অফ ডেথ'। সেই গ্রুপের প্রথম ম্যাচ দুরন্তভাবে জিতে খুশি ফার্নান্ডো স্যান্টোসের দল।
আরও পড়ুনঃকে রইল দলে, আর কে পড়ল বাদ, ফাইনালের আগে দল ঘোষণা ভারত-নিউজিল্যান্ডের
খেলার শুরু থেকেই খেলার আধিপত্য নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় পর্তুগাল। ৭০ শতাংশ বল পজিশন নিজেদের দখলে রেখে একের পর এক আক্রমণ গড়ে তোলে। কিন্তু একেধিক সুযোগ নষ্ট করার ফলে গোলের মুখ খুলতে পারেনি গতবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। বিশেষ করে বিরতির আগে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো যে সহ সুযোগটি মিস করেন তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় সমালোচনা। হাঙ্গেরির গোলরক্ষক একা পেয়েও জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন সিআরসেভেন। ফলে কিছুটা হতাশ হয়েই প্রথমার্ধের বিরতিতে গিয়েছিল পর্তুগাল।
আরও পড়ুনঃ'কিং' কোহলি না 'কুল' উইলিয়ামসন, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে এগিয়ে কোন মহাতারকা
আরও পড়ুনঃইনিই বিশ্বের হট অ্যান্ড সেক্সি ফুটবল এজেন্ট, বিকিনি ফটো শুট দেখলে ঘাম ঝড়বে আপনারও
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ বজায় রাখে গতবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় হাঙ্গেরিও। তারাও বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে। ম্যাচের ৮৩ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ছিল গোলশূন্য। কিন্তু তারপরই বদলে গেল ম্যাচের রং। রাফায়েল গুরেইরোর শট হাঙ্গেরি ডিফেন্ডারের গায়ে প্রতিহত হয়ে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথম গোল খাওয়ার পর খেলায় আর ঘুড়ে দাঁড়াতে পারেনি হাঙ্গেরি। ৮৭ মিনিটে বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। দলের ব্যবধান ২-০ করতে কোনও ভুল করেননি রোনাল্ডো। ম্যাচের ইনজুরি টাইমে ৯২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন সিআরসেভেন। এই ম্য়াচ জয়ের ফলে শীর্ষে ক্রিশ্চয়ানো রোনাল্ডোর দল।