ভারতীয় ফুটবলে ফিফার ব্যান (FIFA Ban) ওঠার পথে আরও এক ধার এগোল। কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (COA) ভেঙে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একইসঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার নির্বাচন করার জন্য এক সপ্তাহ সময় বাড়াল শীর্ষ আদালত। এছাড়া আদালতে মুখ খুললেন প্রফুল প্য়াটেল (Praful patel)।
ভারতীয় ফুটবলকে ফিফা নির্বাসন। যার ফলে ভারতীয় ফুটবল দলের আর কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ কেলাতে নিশেধাজ্ঞা, দেশের মাটিতে মহিলা অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অনিশ্চিয়তা, ক্লাব ফুটবলে নানা অসুবিধা, এছাড়াও নানা সমস্যার মধ্যে যিনি এই সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে সেই প্রফুল প্য়াটেল কবে মুখ খুলবেন তার অপেক্ষায় ছিল সকলে। কারণ তিনিই মেয়াদ ফুরোনোর পরও পদ আগলে পড়ে ছিলেন। অভিযোগ আরও কিছু সময় তিনি সর্বভারতীয় ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগ করতে চান। কিন্তু অবশেষে আদালতের নির্দেশে পদ থেকে সরতে হয়েছিল প্রফুল প্য়াটেলকে। তারপরই এআইএফএফের কাজ চালানোর জন্য প্রসাসসক কমিটি গড়ে দেয় আদালত। কিন্তু কোনও দেশের ফুটবল সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ফিফার নিয়ম বিরুদ্ধ। সেই কারণেই ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসিত করে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। অবশেষে ফিফার কঠোর সিদ্ধান্তের ৭ দিন পর মুখ খুললেন প্রফুল প্যাটেল।
বহু প্রাক্তন ফুটবলরা থেকে শুরু বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক, প্রাক্তন কিছু ফুটবল কর্তার মতে, এই নির্বাসন প্রক্রিয়া আসলে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ভন্ডুল করার জন্য করা হয়েছে। প্রফুল প্যাটেলরা যাতে আরও কিছু দিন এআিএফএফের প্রশাসন সজীব হয়ে থেকে যেতে পারেন তার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে প্রফুল প্য়াটেল কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন। শীর্ষ আদালতে তিনি বলেন, তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তিন বার ফেডারেশনের সভাপতি থাকায় স্বাভাবিক নিয়মেই তিনি আর সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবেন না। প্রফুল্ল ফেডারেশনের অন্য কোনও পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। তাঁর আর্জি, ফিফা যেন ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেয়।
অপরদিকে, এদিন সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয় তারা ফিফার নিয়ম মানতে প্রস্তুত। ফলে কোয়া যাতে ভেঙে দেওয়া হয়। সেই পরিস্থিতিতে পুরনো রায় সংশোধন করে প্রশাসক কমিটি ভেঙে দিয়েছে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এই পরিস্থতিতে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার কাজ দেখাশোনা করবে সেক্রেটারি জেনারেল। একদিক থেকে যেমন ফিফার নিয়ম মেনে প্রশাসক কমিটি ভেঙে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অন্যদিক থেকে কিন্তু এআইএফএফের যে নির্বাচন তা আরও পিছিয়ে গিয়েছে। কারণ এর আগে জানানো হয়েছিল ২৮ অগাস্টের মধ্যে করতে হবে সর্ব ভারতীয় ফুটবল সংস্থার নির্বাচন। এদিন শীর্ষ আদালত তার রায়ে নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই করতে হবে এই নির্বাচন। এই নির্বাচন হওয়ার পর নতুন কমিটি গঠন হলই উঠে যাবে ফিফার ব্য়ান।