পশ্চিমবঙ্গে থেকে কেন ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন! ময়দানে বিতর্কের ঝড় তুললেন তথাগত

বিতর্ক যেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। একেকটি করে টুইট করেন, আর ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। এইবার অবশ্য মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন বিজেপি নেতা তথাগত রায় জড়ালেন ময়দানি বিতর্কে।

 

amartya lahiri | Published : Jul 30, 2019 4:18 PM IST

আগামী বৃহস্পতিবারই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ। যার জন্য গত কয়েকদিন ধরে চলছে জোর প্রস্তুতি। ক্লাবের সদস্য সমর্থকরা আপাতত আবেগের রথের সওয়ারি। আর তারমধ্যেই মঙ্গলবার তথাগত টুইটে প্রশ্ন তুললেন, 'পশ্চিমবঙ্গে থেকে কীভাবে ইস্টবেঙ্গলকে সমর্থন করেন, লাল-হলুদ ক্লাবের কর্তা থেকে সমর্থক কারোর মনে প্রশ্ন জাগে না?'

তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে ময়দানে। ইস্টবেঙ্গল কর্তারা তো বটেই এমনকী মোহনবাগান ক্লাবের কর্তারাও তথাগতর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সহ-সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত সরাসরি অভিযোগ করেছেন, রাজনীতির কারবারি হিসেবে তথাগত  ক্লাবের নামে রাজনীতির রং লাগাতে চাইছেন। এতে লাল-হলুদ জনতার আবেগে আঘাত লেগেছে। খেলোয়াড়ি মনোভাব নেই বলেই এইরকম যুক্তিহীন, মূর্খের মতো কথা বলেছেন তিনি। এসব বাদ দিয়ে বরং দেশের ফুটবলের উন্নতি নিয়ে তথাগতরা কথা বলুন এটাই তারা চান।

মোহনবাগান কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস দত্তও এই বিতর্কে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্টা হয়েছিল ১৯২০ সালে। তারপর নামবদল হয়নি। তাঁর প্রশ্ন ভারতে তো একটাই বঙ্গ। তাহলে রাজ্যের নামটাই বা পশ্চিমবঙ্গ কেন? তথাগতর প্রশ্নটাই ভ্রান্ত বলে তিনি উড়িয়ে দেন।

চাপের মুখে পড়ে ব্যাকফুটে যেতে বাধ্য হন মেঘালয়ের রাজ্যপাল। বিতর্কিত টুইটটি মুছে দিয়ে আরও তিনটি টুইটে তিনি ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন। তাঁর বক্তব্য ইংরাজী ভাষায় করা মন্তব্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা বুঝতে ভুল করেছেন। বলেন, বিধর্মী হওয়ার দায়েই যে পূর্ববাংলার ঘর-বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে, সেই ইতিহাস যেন বাঙালরা ভুলে না যান। নিজেকে আবাল্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থক বলে দাবি করে দুঃখ প্রকাশও করেন।

কিন্তু, তাতে ভবি ভোলার নয়। ক্লাবের নামের সঙ্গে ধর্ম-রাজনীতি জড়িয়ে যে পাঁক ঘাটার খেলা কেলতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেতা তাকে কোনও বাবেই মেনে নিচে পারছেন না ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। দেশভাগের এত বছর পরে কেন এমন মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করছেন তিনি এই প্রশ্ন তুলে সরাসরি আক্রমণ করেছেন অনেকেই। টুইটে ততাগতও স্বীকার করে নিয়েছেন, 'অনেকে কাঁচা ভাষায় গালাগালিও দিয়েছেন-কি আর করা যাবে?  ক্ষোভের প্রকাশ বলেই মেনে নিতে হচ্ছে ।'

 

Share this article
click me!