বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশ বর্তমানে করোনা সংক্রমণের শিকার। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতে ইতিমধ্যে সংক্রমণ ৬ হাজারের গণ্ডি পার করে গিয়েছে। এই অবস্থায় সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন চলছে গোটা দেশে। আর এর মাঝেই তাপমাত্রার পারদ উর্দ্ধমুখী। গরম থেকে বাঁচতে অনেক গৃহবন্দি মানুষই এখন এসি মেশিনের সাহায্য নিয়ে একটু ঠাণ্ডা হতে চাইছে। তাদের জন্য আশঙ্কার খবর শোনাচ্ছে আমেরিকার 'সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন'। এই জার্নামেল প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এসি থেকে সংক্রমণ ছড়ানোরও ইজ্ঞিত দেওয়া হয়েছে। তবে একেবারেই ঘাবড়াবেন না। নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সেই আশঙ্কা সহজেই দূর করা যাবে। এখান সেই বিষয়েই দেওয়া হল কয়েকটি টিপস।
কোভিড-১৯ ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। কথা বলা, হাঁচি,কাশির ফলে যে ড্রপলেট তৈরি হয় তা আয়তনে প্রায় ৫ মাইক্রোমিটারের বেশি । এত বড় কণার পক্ষে এক মিটারের বেশি দূর পর্যন্ত যাওয়া খুব মুস্কিল। তাই সেটা এক মিটারের মধ্যেই থিতিয়ে পড়ে। বিজ্ঞানীদের মত, যে ড্রপলেটের এক মিটারের মধ্যে লুটিয়ে পড়ার কথা, এয়ার কন্ডিশনের বায়ুর প্রবাহ সেগুলোকে অনেকটা বেশি দূর পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন ছাড়া এসির ব্যবহার বন্ধ করুন। যতটা পারবেন এসি বন্ধ করে জানালা খুলে ঘরে থাকুন।
সেন্ট্রাল এসি আছে, এমন জায়গা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখাই এই সময় ভাল।
সেন্ট্রাল এসি আছে এমন হাসপাতালে প্রতি দু’জন রোগীর মধ্যে দূরত্ব আরও একটু বাড়ানোর কথা ভাবা উচিৎ।
এসি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সময় এসি-র ব্লোয়ার থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
নিতান্তই এয়ার কন্ডিশনার চালাতে হলে অবশ্যই সার্ভিসিং করে তবেই চালাবেন। লকডাউনের বাজারে এসি সার্ভিসিংয়ের লোক পাওয়া একটু মুশকিলের। তাই যতটা নিজে পারা যায়, ততটা সেরে রাখুন। তার পর এসি চালান।
শীত কাল থাকায় এতদিন এসির তেমন প্রয়োজন ছিল না। দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার কারণে এর মধ্যে অনেক ব্যাক্টিরিয়া, ছত্রাক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হঠাৎ করে চালিয়ে দিলে সেইগুলি ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আর তার থেকে হতে পারে নিউমোনিয়া, সাইনোসাইটিসের মতো সমস্যা। যা এই সময় আরও বাড়িয়ে দিতে পারে আতঙ্ক।
এসি যদি চালাতেই হয় তবে দিনের কোনও একটা সময় অন্তত জানালা দরজা খুলে দিন। সরিয়ে দিন ঘরের পর্দা। সূর্যের আলো আসতে দিন। ক্রস ভেন্টিলেশন হোক ঘরের মধ্যে।