করোনাভাইরাসের 'এপিসেন্টার' উহানে এখন নতুন জীবন, লকডাউন তুলে নিচ্ছে চিন
সারা বিশ্ব কাঁপছে করোনাভাইরাসের দাপটে। এমনকী ভারতেও ক্রমশ বাড়ছে করোনার দাপট। আতঙ্কের পরিবেশ এতটাই চরমে যে সরকার পর্যন্ত ভারতে লকডাউনের ঘোষণা করেছে। করোনাভাইরাসে এই মুহূর্তে সবচেয়ে সঙ্কটে ইটালি এবং স্পেন। ইউরোপের এই দুই দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। লকডাউনের ঘোষণা করেও মৃত্যু মিছিল এবং আক্রান্তের সংখ্যা কমানো যাচ্ছে না। ভারতেও ইতিমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে মৃতের সংখ্যা। এমন এক পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের কেন্দ্রবিন্দু বলে খ্যাতি পাওয়া চিনে-র উহান এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে বলে ঘোষণা করেছে চিন।
করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার ছিল উহান। কয়েক মাস আগেও মৃত্যুর মিছিল লেগেছিল এখানে। মৃত্যু এসে ঘরে ঘরে ছিনিয়ে গিয়েছে প্রাণ। আতঙ্কে চিনের হুবেই প্রদেশের এই শহর ছেড়ে পালিয়েছিল মানুষ। রাতারাতি উহান-কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল লকডাউন-এর আওতায়। যেন মৃত্যুপূরী হয়ে উঠেছিল এই শহর। উহান থেকে করোনাভাইরাস এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে এমন করে ছড়িয়ে পড়েছে যে তাকে মহামারী বলে ঘোষণা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
চিন জানিয়ে দিয়েছে উহান-এ এখন বইছে নতুন জীবন, নতুন আশা। করোনার গ্রাস অনেকটাই ঢিলে হয়েছে। তাই উহান থেকে পাকাপাকিভাবে ৮ এপ্রিল লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে বলে ঘোষণা করেছে বেজিং।
তবে, উহান যে প্রদেশের রাজধানী সেই হুবেই প্রদেশে লকডাউন উঠে যাচ্ছে বুধবার, মানে ২৫ মার্চ, ২০২০। চিন সরকারের মতে হুবেই-এর অন্যান্য স্থানে গত কয়েক দিনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। নতুন করে কেউ আক্রান্ত হননি। তাই হুবেই থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া হচ্ছে।
১৯ মার্চ থেকে হুবেই-এ নতুন করে আর আক্রান্তের খবর নেই। ২৪ তারিখ পর্যন্ত শূন্য আক্রান্ত এই প্রদেশে। এর আগে তিনি অন্তত ১০০০ টি করে আক্রান্তের সংখ্যা মিলছিল। উহানে অবশ্য এই মুহূর্তে রোজ নতুন আক্রান্তের সংখ্যাটা শূন্য না হলেও অনেকটাই কম। যেমন মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৪ মার্চ উহানের হুবেই জেনারেল হাসপাতালে একজন মাত্র নতুন আক্রান্তের সংখ্যা নথিভুক্ত হয়েছে।
চিনে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে উহানে এবং প্রদেশগতবাবে হুবেই-এ। এখানে ৬৭,৮০১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের জীবানু পাওয়া গিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩১৬০ জনের।