এসবি পার্ক সার্বজনীনের তরফে জানানো হয়েছে, ' 'কারুসেবা', বাংলার কারু শিল্পের যত্নের আখ্যান। এটাই আমাদের এবারের পুজো প্রচেষ্টা। অতিমারি,দুর্যোগ, আদালতনামার প্রেক্ষাপটে আমাদের পঞ্চাশ পেরনো পুজো। আমারা তাই একজায়গায় জোট হয়ে না থেকে কাজ বিভাজন করে নিয়েছিলাম। কলকাতায় নক্শাকারের ঘরে প্রতিমা তৈরি র পাশে পাশে নির্মান হচ্ছিল বীরভূমের সুরুলের বিশ্বখ্যাত শোলাশিল্পী কমল মালাকারের সাজ। ভরিয়ে দিয়েছেন তিনি। বাংলার এক অসামান্য ঘরানার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়েছেন তিনি। আমরা বোঝার চেষ্টা করেছি আইভরি কার্ভিং আর শোলার নকশার সাযুজ্য। এ তো চোখ খুলিয়ে দেওয়া। আর একজন শিল্পী আমাদের শুধুই নয়, আমাদের হয়ে সারা বাংলাকে যিনি সমৃদ্ধ করলেন, তিনি যোগেন চৌধুরী। আমাদের প্রতিমার চালচিত্র এঁকে দিলেন তিনি।এক লহমায় সাঁচী বুদ্ধের হ্যালোর সাথে মিল খুঁজে দেন তিনি ।এভাবেই ভারত শিল্পের সাথে সেতু রচনা হয় দুর্গার চালির । এ এক পরম প্রাপ্তি। সর্বোচ্চ পর্যায়ের কারুশিল্পী আর জগদ্বিখ্যাত চারুশিল্পীর মেলবন্ধন ঘটল আমাদের এবারের পুজোয়। আমরা নতজানু বাংলার শিল্পের কাছে, আমরা প্রনত বাংলার কৃষ্টির কাছে।'