'অমিতাভ বচ্চন অত্যন্ত নিম্ন মনের মানুষ', এই অভিযোগে এক সময় তোলপাড় হয়েছিল বলিউড
সাহায্য নিয়ে, দান নিয়ে, স্বার্থ সিদ্ধি হলেই শুভাকাঙ্খীর কথা ভুলে যান অমিতাভ। এমন কী সাহায্যকারির কথা তিনি স্বীকার করবেন কী করবেন না, সেটাও তাঁর কৌশলের ওপর নির্ভর করে। এই ধরনের মানুষ তাঁর কাছে নিম্নমনের ও রুচি হীন মানুষের পর্যায় পরে। অমিতাভকে এভাবেই বাক্যবাণে একটা-সময় বিঁধেছিলেন সেলিম।
Jayita Chandra | Published : Apr 4, 2020 10:44 AM IST / Updated: Apr 04 2020, 06:28 PM IST
বলিউড কমার্শিয়াল ছবিতে সেলিম এক কিংবদন্তি চরিত্র। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একের পর এক সুপার ডুপার হিটছবি। তাঁর লেখা চিত্রনাট্যের হাত ধরে বলিউডে স্টার থেকে মেগাস্টার বনেছেন বহু অভিনেতা।
৯ বছর আগে একটি বিনোদনমূলক চ্যালেনে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেলিম। সেখানেই তিনি বলেছিলেন অমিতাভ নিম্নরুচির মানুষ।
সেলিমের মতে যিনি অন্যায় করেন তিনি তো দোষীই, পাশাপাশি যারা সাহায্য নিয়েও সাহায্যকারিকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে বিমুখ হয়, তারাও সমান দোষী।
সেলিম জানিয়েছিলেন, 'জঞ্জির'-এর গল্প তিনি প্রথমে ধর্মেন্দ্রকে বিক্রি করেছিলেন। বিনিময়ে অগ্রিম বাবদ আড়াই হাজার টাকা নেন।
কিন্তু জঞ্জির-এর প্রযোজক পাওয়া নিয়ে খুব অসুবিধা হচ্ছিল। সেই সময় জঞ্জির-এর কাস্টিং হিসেবে সেলিম কিছু সিলেকশন শুরু করেন। প্রাণ ও জয়া ভাদুড়িকে তিনি রেখেছিলেন চিত্রনাট্য মেনে এবং তারকা মশালার কথা ভেবে। নায়কের চরিত্রে সেই সময় তিনিই অমিতাভকে নিয়ে আসেন। অনেকে আশঙ্কা ছিল, জয়া ও প্রাণ অমিতাভের সঙ্গে হয়তো অভিনয় করতে রাজি হবেন না। কিন্তু সেলিম পরিস্থিতি সামলে নেন।
জঞ্জির মুক্তি পেতেই অমিতাভ খুঁজে পেয়েছিলেন এক নতুন দিশা। তার আগে সকলের তাঁকে ফ্লপ অ্যাক্টর হিসেবেই বিবেচনা করত। সেলিমের দৌলতে বলিউডে মাটি খুঁজে পেয়েছিলেন অমিতাভ।
এরপর শোলে ছবির জন্য সিপ্পিদের-কে গল্প ও চিত্রনাট্য বিক্রি করেন সেলিম। সেলিমের দাবি, সেই সময় শোলের বীরুর চরিত্রে অমিতাভকে নেওয়ার জন্য জোর সওয়াল করেছিলেন তিনি। সিপ্পি অবশ্য প্রথমদিকে অমিতাভকে নেওয়ার ব্যাপারে একদমই রাজি ছিলেন না। কিন্তু সেলিমের মধ্যস্ততাতেই বীরুর চরিত্র আসে অমিতাভের ঝুলিতে। শুধু অমিতাভের জন্যই একটা মিটিং-ও সেট করেছিলেন তিনি।
সেলিমের আরও দাবি অমিতাভকে, মনমোহন দেশাই থেকে শুরু করে প্রকাশ মেহেরার সামনেও তিনিই তুলে ধরেছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে সেলিম বলেন মনমোহন দেশাই প্রথম দর্শনে অমিতাভকে একদমই পছন্দ করেননি। কিন্তু সেই সময় সেলিম অমিতাভের হয়ে নাকি মনমোহন দেশাইয়ের সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন।
নানা জায়গায় শোলে-তে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অমিতাভ ধর্মেন্দ্রর নামটাই সবার আগে নিয়ে থাকেন আর এটাই সেলিমের দুঃখ। তাঁর মতে শোলে তৈরির প্রথম ভাবনাটা শুরু হয়েছিল তাঁর গল্প থেকেই। যদিও দুঃখের এই কথা তিনি হৃদয়ে চেপে রাখেন, সচরাচর বাইরে আসতে দেননা। আর এটাই তাঁর সংস্কৃতি বলে জানিয়ে ছিলেন সেলিম। এমনকী তিনি তাঁর ছেলে সলমন খানকেও এই একই শিক্ষায় বড় করে তুলেছেন।