সাত দিনে ওজন কমাতে বেছে নিয়েছেন জিএম ডায়েট? এটা আদৌ কি উপকারী? দেখে নিন এক ঝলকে

ওজন কমাতে চাইলে সবার আগে রাশ টানতে হবে খাবার দাওয়ায়। বাদ দিতে হবে ক্যালোরি জাতীয় সকল খাবার। এই ধারণা মেনে চলেন সকলে। ওজন কমানোর কথা মাথায় এলে সবার আগে শুরু হয় ডায়েটিং। এর থেকেই কিটো ডায়েট ও জিএম ডায়েটের মতো একাধিক ডায়েট প্ল্যানের উৎপত্তি। দ্রুত ওজন কমাতে অনেকেই করে থাকেন জিএম ডায়েট। এই ডায়েট সাত দিনের। এতে প্রথম দিন যত খুশি ফল খান, দ্বিতীয় দিন সবজি। তৃতীয় দিন সবজি ও ফল দুটোই, চতুর্থ দিন খাওয়া হয় দুধ ও কলা। পঞ্চম দিন খেতে পারেন ভাত। ষষ্ঠ দিন আবার ভেজিটেবল ডায়েট। আর শেষ দিনে সবজি ও ভাত খাওয়া যায়। কিন্তু, জানেন কী এই কঠিন ডায়েটিং করতে গিয়ে দেখা দিচ্ছে একাধিক জটিলতা। জেনে নিন কী কী। 

Sayanita Chakraborty | Published : Apr 5, 2022 3:37 AM IST
110
সাত দিনে ওজন কমাতে বেছে নিয়েছেন জিএম ডায়েট? এটা আদৌ কি উপকারী? দেখে নিন এক ঝলকে

জিএম ডায়েট বিজ্ঞান সম্মত নয় বলে মনে করেন অনেকেই। এই ডায়েট সাত দিনের হয়। এক এক দিন এক এক রকম খাবার। খুব দ্রুত ওজন কমতে এই ডায়েট উপকারী। কিন্তু, তা সত্ত্বেও জিএম ডায়েট বিজ্ঞান সম্মত নয় বলে মনে করেন অনেকেই। কোনও ডায়েটশিয়ান ও ডাক্তারেরা এই ডায়েট সুপারিশ করেন না। 

210

যে কোনও ডায়েটের ক্ষেত্রে ডাক্তার খাদ্যতালিকা থেকে সকল ফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে পুষ্টিকর খাবার অন্তর্ভূক্ত করে থাকেন। কিন্তু, বিশেষজ্ঞদের মত জিএম ডায়েটে পুষ্টির ঘাটতি হয়। চিকিৎসকরা খাদ্যতালিকায় ফাইবার, ভিটামিন, প্রোটিন ও খনিজ- সব রকম খাবার রাখার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু, জিএম ডায়েটে এক একদিন এক এক রকম খাবার থাকায় এর ঘাটতি হয়। 

310

মেটাবলিজম কমে যায় জিম ডায়েট অনুসরণ করলে, এমনই মত বিশেষজ্ঞদের। জিএম ডায়েট স্বাভাবিক বিপাকীয় হারকে প্রভাবিত করে। সে কারণে কমে যায় মেটাবলিজম। এতে ওজন কমার পরিবর্তে শরীরে চর্বির সঞ্চয় হয়। 

410

মনোসংযোগের অভাব, স্মৃতি শক্তি হ্রাস পাওযার মতো সমস্যা দেখা দেয় জিএম ডায়েট অনুসরণ করলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিএম ডায়েট করেল হরমোনগুলির ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এর ফলে, অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সঙ্গে মস্তিষ্কে ক্ষতি হয় এই ডায়েটের জন্য।

510

পেশী ক্ষয় ও পেশী দুর্বলতার সমস্যা দেখা দেয় জিএম ডায়েট করলে। জিম ডায়েট মূলত সাত দিনের ডায়েট প্ল্যান। এই প্ল্যানে এক এক দিন এক এক রকম খাবার খাওয়া হয়ে থাকে। কোনও দিন ফল, কোনওদিন সবজি। গবেষণা বলছে বারে বারে খাবার সঙ্গে খাদ্যগুণ পরিবর্তনের জন্য পেশী ক্ষয় ও পেশী দুর্বলতার সমস্যা দেখা দেয়। 

610

জিম ডায়েট করলে  ব্যায়ামের স্ট্যামিনা, নমনীয়তা, ভারসাম্য, সহনশীলতা কমে যায়, এই সময় শরীর দুর্বল থাকে। কম প্রোটিন, কম ক্যালোরি যপক্ত খাবার খাওয়া হয় এই জায়েটে। তাই কর্মক্ষমতা, শক্তি, স্ট্যামিনা কমতে থাকে। তাই দুর্বল লাগলে, এই তিন দিন ব্যায়াম না করাই ভালো। 

710

মাথা ঘোরার মতো সমস্যা দেখা দেয় জি এম ডায়েট করলে। এই ডায়েট প্ল্যানে প্রথম দিন যত খুশি ফল খান, দ্বিতীয় দিন সবজি। তৃতীয় দিন সবজি ও ফল দুটোই, চতুর্থ দিন খাওয়া হয় দুধ ও কলা। এমন খাবারের পরিবর্তনের জন্য শরীর দুর্বল লাগে অনেকের। মাথা ঘোরা ও মেজাজ খিটখিটে লাগে। 

810

গরমে অনেকেই ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভোগেন গরম কালে। এই সমস্যা জিএম ডায়েট করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে ত্বকের শুষ্কতা, বিপাকীয় হার কমে যাওয়ার মতো সমস্যা বাড়তে থাকে। 

910

চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয় জিএম ডায়েট করলে। এই সময় শরীর পর্যাপ্ত প্রোটিন, পুষ্টির অভাব হয়। এক সম্পাহের বেশি সময় জিএম ডায়েট করলে চুল পড়া, নিস্তেজ চুলের সমস্যা দেখা দেয়। তাই নির্দিষ্ট সময়ের বেশি এই ডায়েট করবেন না। এতে শরীরে বাড়বে নানা রকম জটিলাতা। 

1010

জিএম ডায়েট সকলের জন্য নয়। গর্ভবতী মহিলারা ও বাচ্চারা ভুলেও এই ডায়েচ করবেন না। আপনার শরীরে যদ কোনও রকম কঠিন রোগ থাকে, তাহলে এই ডায়েট না করাই ভালো। ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল, হৃদরোগ থাকলে ভুলেও এই ডায়েট করবেন না।     

Read more Photos on
Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos