কিভাবে বুঝবেন এগুলি স্ট্রোকের সতর্কতা চিহ্ন, সময় মতো সনাক্ত করে জীবন বাঁচতে পারে
প্রতি বছর সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের কারণে মারা যায়। মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশে রক্ত সরবরাহে সমস্যা হলে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। নিউরোলজিক ডিজঅর্ডারের কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে থাকে, যা থেকে অনুমান করা যায় স্ট্রোক হয়েছে।
Web Desk - ANB | Published : Oct 29, 2022 10:12 AM IST / Updated: Nov 11 2022, 12:08 AM IST
স্ট্রোকের সতর্কতা যদি সময়মতো বোঝা যায়, তাহলে শুধু জীবনই বাঁচানো যাবে না, রোগের চিকিৎসাও সম্ভব। চিকিৎসা ক্ষেত্রে একে শর্টকাটে 'ফাস্ট' বলা হয়। বিশ্ব স্ট্রোক দিবস ২০২২-এর দিনে, আসুন এই রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি তথ্য জেনে নেই।
ব্রেন স্ট্রোকে 'ফাস্ট' কী?
এফ-ফেস ড্রপিং
যদি একজন ব্যক্তি হাসতে হাসতে অস্থির দেখায়, মুখের একপাশে ঝাঁকুনি অনুভব করে বা মুখের কিছু অংশ অসাড় হয়ে যায়, তবে এটি স্ট্রোকের ঝুঁকির লক্ষণ হতে পারে। হাসতে হাসতে মাঝে মাঝে মুখ বাঁকা দেখায়।
বাহু দুর্বলতা
যদি একজন ব্যক্তি তার উভয় হাত উঠানোর পরে অসাড় বা দুর্বল বোধ করেন তবে স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকতে পারে। হাতের মধ্যে ভারসাম্য হারিয়ে নিচে নেমে আসা স্ট্রোকের লক্ষণ।
কথা বলার অসুবিধা
যদি একজন ব্যক্তির কথা বলতে সমস্যা হয় বা তিনি সঠিকভাবে কোনও শব্দ উচ্চারণ করতে না পারেন, তাহলে এই সমস্যাটি স্ট্রোকের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। এমন ব্যক্তিকে সহজ কথা বলুন এবং তাকে কথা বলতে বলুন। তিনি যদি কথা বলতে না পারেন তাহলে বুঝবেন সমস্যা বাড়ছে।
এখনই কল করার সময় যদি কোনও ব্যক্তির মধ্যে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে স্বাস্থ্য বিভাগে ফোন করুন এবং অবিলম্বে তা জানান। এর মাধ্যমে সেই ব্যক্তিকে সময় মতো বাঁচানো যায়। এ ছাড়া স্ট্রোকের আরও অনেক লক্ষণ রয়েছে।
স্ট্রোকের অন্যান্য লক্ষণ-
একদিকে দুর্বলতা
দৃষ্টি সমস্যা বা ঝাপসা দৃষ্টি
শরীরের কোন অংশে অসাড়তা
শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণের অভাব
স্ট্রোক দুই ধরনের হয়
মাইনর স্ট্রোক-
যখন মস্তিষ্কে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ হয় না, তখন শিরা ফেটে যায়, যার কারণে মস্তিষ্কের যে কোনও অংশে রক্ত জমাট বাঁধে, যাকে মাইনর স্ট্রোক বলে।
মেজর স্ট্রোক-
যখন একটি আর্টিলারি ফেটে যায়, তখন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় এবং মস্তিষ্কের কিছু অংশে জমা হয়। এ কারণে মস্তিষ্ক কাজ করতে পারে না এবং সমস্যা বাড়তে থাকে।
স্ট্রোকের কারণ-
উচ্চ্ রক্তচাপ
ডায়াবেটিস
হৃদরোগ
অতিরিক্ত মদ, সিগারেট ও গুটকা সেবন
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের অভাব
স্ট্রোক এড়াতে চাইলে এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করুন
এর সঙ্গে যে বিষয়গুলো মানতে হবে তা হল-
অ্যালকোহল পান করবেন না, ধূমপান তামাক এড়িয়ে চলুন, ব্যায়াম করুন, কোনও ধরনের ব্যায়ামের কমতি করবেন না। খাবারে ভারসাম্য বজায় রাখুন। স্যাচুরেটেড ফ্যাট, লবণ, ট্রান্স ফ্যাট এবং উচ্চ কোলেস্টেরল এড়িয়ে চলুন। প্রচুর ফল ও সবজি খান, লিফট ব্যবহার এড়িয়ে চলুন