রাম মন্দিরের পাশাপাশি অযোধ্য়া এবার বিখ্যাত হবে মসজিদেও, মক্কার কাবার আদলেই হবে নির্মাণ
রাম মন্দিরের ভূমিপুজো হয়ে গিয়েছে। স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার মসজিদ গড়ার প্রস্তুতিও চলছে জোড়কদমে। জানা যাচ্ছে মক্কার বিখ্যাত কাবা মসজিদের আদলেই তৈরি হবে এই মসজিদ।
অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রথম থেকেই শুরু হয়েছিল বিতর্ক। মন্দির হবে না মসজিদ হবে, সেই নিয়ে শেষপর্যন্ত হস্তক্ষেপ করতে হয় সুপ্রিম কোর্টকে।
রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন ঘোষণার পরেই জানা গিয়েছিল যে নতুন মসজিদও খুব তাড়াতাড়ি গড়ে উঠবে অযোধ্যায়। ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে তার লোগো। কিছুটা এগিয়েছে নির্মানের প্রাথমিক কাজও।
বাবরি মসজিদের পরিবর্তে অযোধ্যায় তৈরি হতে যাচ্ছে নতুন আরেকটি মসজিদ। তবে এই মসজিদটি প্রচলিত আঙ্গিকে নয়, ভিন্ন আদলে নির্মাণ করা হবে।
এবার এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন মসজিদ তৈরির দায়িত্বে থাকা ইন্দো-ইসলামিক কালাচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সম্পাদক ও মুখপাত্র আতাহার হুসেন। জানালেন মক্কার বিখ্যাত কাবা মসজিদের আদলেই তৈরি হবে এই মসজিদ।
১৫ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে গড়ে উঠবে এই মসজিদ। বাবরি মসজিদের আয়তনও এমন ছিল।
এটি কাবার মতো চৌকো গড়নের হতে পারে। তবে এখনও পুরোটাই ট্রাস্টের আলোচনার স্তরে আছে।
কাবা শরিফের যেমন কোনও গোল মাথা বা গম্বুজ নেই, তেমনই হতে পারে অযোধ্যার মসজিদও। এ বিষয়ে স্থপতিবিদকেই সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাস্টের সম্পাদক।
মসজিদটি বাবরি নামে হবে না। অন্য কোনও সম্রাটের নামেও ও হবে না। এর নাম ধন্নিপুরের মসজিদ হতে পারে।
মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে জাদুঘর, হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এ জন্য অনুদান সংগ্রহ করতে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইট বানানোর কাজ চলছে।
২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর রাম জন্মভূমি মামলার রায় ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বলা হয়, অযোধ্যার বিতর্কিত ২.৭৭ একর জমিতে গড়ে উঠবে রাম মন্দির। আর অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মসজিদের জন্য বরাদ্দ করা হবে ৫ একর জমি।
মন্দির ও মসজিদ নির্মাণে হিন্দু এবং মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের আলাদা দুটি সংস্থাকেও দায়িত্ব দেয় শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই মসজিদ গড়ে তোলার জন্য ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট গঠন করে উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড।
ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের স্থানে গত আগস্ট মাসে রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এখান থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অযোধ্যার ধন্নিপুরে মসজিদ তৈরির প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই ১৫ হাজার বর্গফুটের একটি মসজিদ তৈরির প্রস্তুতি চলছে।