লাদাখ কব্জা করতে চিনা সেনার কূট চাল, মোদীর বিরুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানদের প্ররোচিত করতে ষড়যন্ত্র ফাঁস
পূর্ব লাদাখে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ সাহসিকতার সঙ্গে রুখে দিয়েছেন ভারতীয় জওয়ানরা। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার আগ্রাসনের জন্য মুখ পড়ছে বেজিংয়ের। এই পরিস্থিতিত সাম্রাজ্যলোভী দেশটি ভারতীয় সেনার মোনবল ভাঙতে এক অতি নিকৃষ্ট পদক্ষেপ করছে।
Asianet News Bangla | Published : Sep 16, 2020 11:40 AM IST / Updated: Sep 16 2020, 05:19 PM IST
পূর্দ লাদাখে পরাক্রম দেখিয়েছে ভারতীয় সেনা। অধিকাংশ পর্বত চূঁড়াই এখন ভারতীয় সেনার দখলে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় জওয়ানদের মনোবল ভাঙতে একটি পরিকল্পনা করেছে লালফৌজ।
লাদাখে লাউডস্পিকার বাজিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ভারতীয় জওয়ানদের প্ররোচিত করার চেষ্টা চলছে।
ভারতের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন চিন আসলে ১৯৬২ সালের মতোই ভাবনাচিন্তা নিয়ে চলছে।
আসলে চিন তার হাজার বছরের পুরনো রণকৌশল নিয়েই এগোতে চাইছে।
চিনা সামরিক রণনীতিক সুন জু তাঁর বিখ্যাত বই 'আর্ট অফ ওয়ার' লিখেছিলেন ষাট খ্রিস্টপূর্বে। যেখানে লেখা রয়েছে, বিনা যুদ্ধ করে যে ক্ষমতা দখল করে সেটাই হল যুদ্ধের সেরা কৌশল।
সেই যুদ্ধ কৌশলকে নিয়েই এখনও কাজ করে চলেছে চিনের সেনাবাহিনী এবং গ্লোবাল টাইমসের মতো কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্রগুলি। লাদাখে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে মানসিক যুদ্ধ পরিচালনা করছে লালফৌজ।
২৯ ও ৩০ আগস্ট, প্যাংগং লেকের দক্ষিণ তীরে রেজাং লা ও রেচিন লাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী চিনা সেনাবাহিনী আক্রমণ রুখে দিলে চিনা সেনাবাহিনী সর্বপ্রথম ট্যাঙ্ক এবং সাঁজোয়া সামরিক যানবাহন নিয়ে আসে।
চিনা ফৌজ আশা করেছিলেন যে এতে ভারতীয় সেনা ভয় পাবে এবং পশ্চাদপসরণ করবে, কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। ভারতীয় সেনাবাহিনী স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয় যে যদি চিনা সেনাবাহিনী লক্ষ্মণ রেখাকে অতিক্রম করে তবে তার জবাব দেওয়া হবে।
এই পদক্ষেপ ব্যর্থ হওয়ার পরে, চিনের সেনাবাহিনী প্যাংগং লেকের ফিংগার ৪-এ পাঞ্জাবি গান বাজানো শুরু করে। সূত্রের খবর, এই সময়ে চিনা সেনাবাহিনীর মোল্ডো সামরিক ঘাঁটিতে বড় বড় লাউডস্পিকার বসানো হয়েছিল।
চিনা সেনারা হিন্দিত ভাষার সাহায্য নিয়ে কঠোর শীতে ও এত উচ্চতায় ভারতীয় সেনা মোতায়েন নিয়ে এদেশের রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্তের তাৎপর্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।
চিনের কৌশল হ'ল ভারতীয় সৈন্যদের আস্থা দুর্বল করা এবং যে সব সেনারা কখনও গরম খাবার খান না তাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করা।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক প্রাক্তন সেনাকর্তা বলেছিলেন যে ১৯৬২ এবং ১৯৬৭ সালে নাথু লা সংঘর্ষের সময় পিএলএ-তে লাউডস্পিকারের কৌশল ব্যবহার করেছিল লালফৌজ। ওই সেনাকর্তা আরও বলেন, চিন মনেকরছে যে পাঞ্জাবি সেনারা ফিঙ্গার ৪-এ মোতায়েন রয়েছে।