বড় ধাক্কা খেল রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি, কী অবস্থায় আছে অন্যান্য সাড়া জাগানো টিকাগুলি

অদ্ভূত সমস্যার সম্মুখীন হল রুশ করোনাভাইরাস টিকা স্পুটনিক ভি। যার কারণে আপাতত থামিয়ে দিতে হয়েছে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল। এই অবস্থায় বিশ্বে সর্বপ্রথম গণহারে উৎপাদনের ছাড়পত্র পাওয়া করোনা টিকার ভবিষ্যত আপাতত বিশ বাঁও জলে। মোদারেনা, ফিজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকা-র তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে সাড়া জেনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি অবশ্য ঠিকঠাক রাস্তাতেই চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি।

 

amartya lahiri | Published : Oct 30, 2020 9:43 AM IST / Updated: Nov 07 2020, 02:34 PM IST

15
বড় ধাক্কা খেল রুশ ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি, কী অবস্থায় আছে অন্যান্য সাড়া জাগানো টিকাগুলি

বড় ধাক্কা খেল রুশ ভ্যাকসিন

সারা বিশ্বের উল্টোপথে ভ্য়াকসিন বিকাশ করছে মস্কো। সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সংক্রান্ত পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার আগেই তারা সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য সরকারি অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে স্পুটনিক ভি-কে। যার ফলে বর্তমানে মস্কোর যে সেন্টারগুলিতে ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে, সেখানে স্বেচ্ছাসেবীদের ঢল নেমেছে। চাহিদা এতটাই বেশি যে পর্যাপ্ত ডোজের অভাব দেখা দিয়েছে। মস্কোর ২৫টি ক্লিনিকের মধ্যে অন্তত ৮ টি ক্লিনিকে নতুন স্বেচ্ছাসেবীদের টিকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তারা জানিয়েছে তাদের যে ডোজ বরাদ্দ করা হয়েছিল, স্বেচ্ছাসেবীদের বিশাল ভিড়ে সেইসব ফুরিয়ে গিয়েছে। তাই নতুন ডোজ তৈর হওয়ার আগে আপাতত তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল স্থগিত রাখা হচ্ছে।

 

25

কী অবস্থা মোদার্নার

অন্যদিকে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মোদার্না জানিয়েছে, তাদের তৈরি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রার্থীর শেষ পর্যায়ে পরীক্ষা চলছে। আগামী মাসেই এর প্রাথমিক প্রাপ্ত তথ্য থেকে তৈরি প্রতিবেদন প্রকাশ করার আশা করছে তারা। তারা জানিয়েছে নভেম্বর মাসেই একটি স্বাধীন ডাটা মনিটরিং কমিটির ৩০,০০০ ব্যক্তিকে দিয়ে তাদের ভ্যাকসিনটির অন্তর্বর্তী পর্যালোচনা করানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই এমআরএনএ -১২৭৩ নামে পরিচিত এই করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনটি বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থা। চলতি বছরের শেষ দিকেই ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে তারা। আর ২০২১ সালে, এই উৎপাদনের পরিমাণ পৌঁছবে ৫০০ মিলিয়ন থেকে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি-তে।

 

35

দৌড়ে আছে ফাইজার-ও

শুধু মোদার্না ইনকর্পোরেশনের ভ্যাকসিনই নয়, আরেক মার্কিন সংস্থা ফাইজার ইনকর্পোরেশনের তৈরি টিকাটির কাজও প্রায় শেষ বলে জানিয়েছেন শীর্ষ মার্কিন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অ্যান্টনি ফাউকি। তাঁর মতে সবকিছু ঠিকঠাক চললে  ডিসেম্বরের শেষের দিকে বা ২০২১-এর জানুয়ারির শুরুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম টিকা দেওয়া শুরু করতে পারে। তিনি বলেছেন মোদার্না এবং ফাইজার-এর থেকে যে তথ্য তিনি পেয়েছেন তাতে তাঁর অনুমান আমেরিকার হাতে 'নিরাপদ এবং কার্যকর টিকা' আছে কিনা তা ডিসেম্বরেই জানা যাবে।

45

ভারতের ভ্য়াকসিনগুলির কী অবস্থা
 
ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন-সহ ভারতের সম্বাব্য করো টিকাগুলির পরীক্ষা নিরীক্ষাও প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েচে। তবে ভারতের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, দেশের ভ্যাকসিন উৎপাদনের পরিকাঠামো। কেন্দ্র জানিয়েছে এই ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিতরণ ক্ষমতা করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় বিশ্বের সমস্ত মানুষকে সাহায্য করতে কাজে লাগানো হবে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশে সাপ্লাই চেইন এবং কোল্ড স্টোরেজ-এর মতো পরিকাঠামোগত সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রেও সহায়তা করবে ভারত সরকার।

55

কাজ করছে বিসিজি ভ্যাকসিন

অন্যদিকে আইসিএমআর জানিয়েছে কোভিডের ভ্যাকসিন এখনও হাতে না এলেও অন্য এক রোগের ভ্যাকসিন করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজে আসছে। আইসিএমআর-এর সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যক্ষ্মা থেকে রক্ষা করতে শিশুদের যে বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়, সেই টিকাই ভারতে অন্তত প্রবীণ ব্যক্তিদের করোনা নিরাময়ে ইতিবাচক ফলাফল দিচ্ছে। তবে এটা একেবারেই প্রারম্ভিক ফলাফল বলে জানিয়েছে এই ভারতীয় বিজ্ঞানচর্চা কেন্দ্র।

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos