৬৬ কোটি ডোজ, ২ লক্ষ ভ্যাকসিনেটর - কত বড় কর্মযজ্ঞ ভারতের কোভিড টিকাকরণ, দেখুন ছবিতে ছবিতে

ভারতে, সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভি়ড ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন-কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল মোদী সরকার। এরপর ১৬ জানুয়ারি, শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের টিকাকরণ। প্রথম পর্যায়ে ৩০ কোটি ভারতবাসী টিকা পাবেন। বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ অভিযান হতে চলেছে এটি। ঠিক কত বড় এই টিকাদান যজ্ঞ? কয়েকটি পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট হতে পারে -

 

amartya lahiri | Published : Jan 14, 2021 12:10 PM IST / Updated: Jan 19 2021, 02:09 PM IST

111
৬৬ কোটি ডোজ, ২ লক্ষ ভ্যাকসিনেটর - কত বড় কর্মযজ্ঞ ভারতের কোভিড টিকাকরণ, দেখুন ছবিতে ছবিতে

ভারতে অনুমোদন প্রাপ্ত ভ্যাকসিন: ২টি

গত ৩ জানুয়ারী, সরকার কোভিশিল্ড এবং কোভাক্সিনকে জরুরি-ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। ভারত বায়োটেক-এর তৈরি টিকাটির তৃতীয় ধাপের ক্লিনিকাল ট্রায়াল অবশ্য এখনও  চলছে।

 

211

ডোজ সরবরাহ করতে হবে: ৬৬ কোটি

দশ শতাংশ অপচয় হবে ধরে নিয়ে ভারতের প্রথম পর্যায়ের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য মোট ৬৬ কোটি ডোজ কোভিড টিকা প্রয়োজন। এই পরিমাণ ভ্য়াকসিন ডোজে ইংল্যান্ডের সমস্ত জনসংখ্য়ার অন্তত ৫ বার করে টিকাকরণ হয়ে যাবে।

311

ডোজ সংগ্রহ করা হয়েছে: ১৬৫ লক্ষ

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে মোদী সরকার সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া থেকে কোভিশিল্ড-এর ১১০ লক্ষ ডোজ এবং ভারত বায়োটেক থেকে কোভাক্সিনের ৫৫ লক্ষ ডোজ সংগ্রহ করছে। কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রতি শিশির দাম ২০০ টাকা করে, আর কোভাক্সিনের প্রতি ডোজের দাম ২০৬ টাকা।

 

411

টিকাদানে অগ্রাধিকার: ৩০ কোটি

সরকার টিকাদানের ক্ষেত্রে চারটি অগ্রাধিকার গোষ্ঠী নির্ধারণ করেছে। এদেরকেই কোভিড ভ্যাকসিন প্রথমে দেওয়া হবে। এই গোষ্ঠীগুলি হল - স্বাস্থ্য পরিষেবা দানকারী এবং কর্মচারী (সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্র মিলিয়ে আনুমানিক প্রায় ১ কোটি), রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, হোম গার্ড, নাগরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী, পৌরকর্মী (স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বাদ দিয়ে)-সহ অন্যান্য  ফ্রন্টলাইন কর্মীরা (প্রায় ২ কোটি), ৫০-ঊর্ধ্ব ব্যক্তিরা এবং ৫০ বছরের নিচে বয়স অথচ কো-মব্রিডিটি আছে এমন ব্যক্তিরা। সব মিলিয়ে সংখ্য়াটা সরকারি হিসাবে আনুমানিক ৩০ কোটি।

 

511

কো-উইনে নিবন্ধিত টিকাদানকারী: ২.৩৪ লক্ষ

টিকাকরণ অভিযানের জন্য ব্যবহৃত সরকারি কো-উইন অ্যাপে এখনও পর্যন্ত ২,৩৪,৪২২ জন ভ্যাকসিনেটর বা টিকাদানকারীর নাম নিবন্ধিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে টিকাদান কেন্দ্র হিসাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে ৫১,৪৫৯টি সরকারি এবং ১,৬২,৯৩৩টি বেসরকারী স্বাস্থ্যপরিষেবা কেন্দ্রকে।

 

611

জাতীয় স্তরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত: ২,৩৬০

গত মাসেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মেডিকেল অফিসার, ভ্যাকসিনেটর অফিসার, বিকল্প ভ্যাকসিনেটর অফিসার, কোল্ড চেইন হ্যান্ডলার, সুপারভাইজার, ডেটা ম্যানেজার এবং আশাকর্মীদের টিকাকরণ অভিযানের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছিল। মোট ২৩৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

 

711

স্থানীয় স্তরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত: ৬ লক্ষেরও বেশি

রাজ্য, জেলা ও ব্লক পর্যায়ে এখনও পর্যন্ত ৬১,০০০ জনেরও বেশি মানুষকে প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ২ লক্ষ জনকে ভ্যাকসিনেটর এবং ৩.৭ লক্ষ জনকে টিকাদানকারী দলের অন্যান্য সদস্য হিসাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

 

811

ভ্যাকসিন সংরক্ষণস্থান: ২৯,০০০ কোল্ড চেইন পয়েন্ট

গত মাসেই স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য ২৯,০০০ কোল্ড চেইন পয়েন্ট, ২৪০ টি ওয়াক-ইন কুলার, ৭০ টি ওয়াক-ইন ফ্রিজার, ৪৫,০০০ বরফযুক্ত রেফ্রিজারেটর, ৪১,০০০ ডিপ ফ্রিজার এবং ৩০০ টি সোলার রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করা হবে। এই সমস্ত সরঞ্জাম ইতিমধ্যেই রাজ্যে রাজ্যে সরবরাহ করা হয়েছে।

 

911

ভ্যাকসিন স্টোরেজ: ৪ টি প্রাইমারি স্টোর, ৩৭ টি স্টেট স্টোর

কার্নাল, কলকাতা, চেন্নাই এবং মুম্বই - এই চার শহরে চারটি কেন্দ্রীয় সরকারি মেডিকেল স্টোর ডিপো (জিএমএসডি) রয়েছে। এছাড়া দেশের সব রাজ্য মিলিয়ে আরো ৩৭ টি ভ্যাকসিন স্টোর রয়েছে। এই স্টোরগুলি থেকে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে টিকাদান কেন্দ্রগুলিতে।

1011

ভ্যাকসিন স্টোরেজ: ৪ টি প্রাইমারি স্টোর, ৩৭ টি স্টেট স্টোর

কার্নাল, কলকাতা, চেন্নাই এবং মুম্বই - এই চার শহরে চারটি কেন্দ্রীয় সরকারি মেডিকেল স্টোর ডিপো (জিএমএসডি) রয়েছে। এছাড়া দেশের সব রাজ্য মিলিয়ে আরো ৩৭ টি ভ্যাকসিন স্টোর রয়েছে। এই স্টোরগুলি থেকে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে টিকাদান কেন্দ্রগুলিতে।

 

1111

ভ্য়াকসিন পরিবহন: উড়ানে ৭১.২২ লক্ষ ডোজ

মঙ্গলবার থেকে ভারতীয় বিমান সংস্থাগুলির উড়ানে বিভিন্ন শহরে পাঠানো হচ্ছে ভ্যাকসিন। ১২ জানুয়ারী বিকাল ৪টের মধ্যে কোভিশিল্ডের ৫৫.৭২ লক্ষ ডোজ বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাদের দাবি, ১৪ জানুয়ারি রাতের মধ্যেই ৭১.২২ লক্ষ ডোজ পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভারতের বিভিন্ন শহরে।

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos