দেশের মোট জিডিপি চলতি বছর শূন্যের কাছাকাছি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। পাশাপাশি তিনি আশা প্রাকশ করে বলেছেন দেশের অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণের লক্ষণগুলি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। তাই আশা করা যেতে পারে আগামী অর্থবর্ষে দেশে অর্থনীতি বৃদ্ধি পাবে। ইন্ডিয়ার এনার্জি ফোরামে মঙ্গলবার বক্তব্য রাখার সময় দেশের অর্থনীতি নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারমন।
চলতি আর্থিক বর্ষে ভারতের মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের থেকেও নিচে নেমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সংস্থা। মঙ্গলবার এনার্জি ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকারান্তে তা স্বীকার করে নেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
29
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেন, চলতি বছরে দেশের মোট জিডিপি শূণ্যের কাছে হতে পারে। কিন্তু তারপরই তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন দেশের অর্থনীতি আবারও জেগে উঠেছে। ধীরে ধীরে সেই লক্ষণগুলি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
39
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন আশা প্রকাশ করেছেন আগামী অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি দ্রুততার সঙ্গে বিকাশিত হবে।
49
সাম্প্রতিক সময় ভারতের অর্থনীতি দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান সময় চিন ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বিকাশের হার ছিল ৪.২ শতাংশ। কিন্তু ২০১৯ সালে চিনের আর্থিক বিকাশের হার ৬ শতাংশ।
59
চলতি বছর ভারতের অর্থনীতি সংকোচিত হবে এমনটাই আশা করেছিল আইএমএফ। পাল্টা চিনের অর্থনীতি ২০২০ সালে ১.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করা হয়েছিল।
69
তবে রাজ্যকে অর্থসাহায্য করা হচ্ছে না কেন্দ্রের তরফে, তা মানতে চাননি নির্মলা। কেন্দ্রের আয় এপ্রিল-জুনে ২৯.৫% কমলেও রাজ্যকে দেওয়া করের ভাগ ১১% কমেছে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।
79
আগামী বছর ভারতের অর্থনীতি চিনকে ছাপিয়ে যাবে বলেই প্রত্যাশা করেছে আইএমএফ। কারণ ভারতের অর্থনীতি ৮.৮ শতাংশ প্রসারিত হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।চলতি বছর শেষের দিকে বৃদ্ধির হার থাকবে ৪.২।
89
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিহত করার জন্য প্রথম দিকে বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারত কঠোর লকডাউন পালন করেছিল। সেই সময় প্রায় স্তব্ধ ছিল দেশের আর্থিক গতিবিধি। আর তারই প্রভাব পড়েছে জিডিপিতে। ধীরে ধীকে সেই ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে ভারত। দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
.
99
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেন কৃষি নির্ভর ক্ষেত্র ও গ্রামীণ অর্থনীতি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কৃষি যন্ত্রপাতি ও ট্রাক্টারের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।