পূর্ণিমার রাতেই চাঁদের 'কলঙ্ক' হয় পড়ছে মরচে, চন্দ্রযান-১ এর তথ্য থেকে জানাল নাসা

এক বছর হয়ে গেল চন্দ্রযান ১ চক্কর কাটছে চাঁদের চারদিকে। আর এরই মধ্যে সেখান থেকে পাঠল এক চমকপ্রদ তথ্য। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার যন্ত্র জানিয়ে দিল চাঁদের গায়ে মরচে পড়েছে। আর সেটা খুব অল্পদিনের নয়। বহু কোটি বছর ধরেই মরচের কলঙ্ক নিয়েই বেঁচে রয়েছে চাঁদ। কিন্তু কী করে পড়ল মরচে। তার উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন  পৃথিবী থেকে যাওয়া অক্সিজেনই চাঁদের মরচের কারণ। 

Asianet News Bangla | Published : Sep 6, 2020 11:11 AM IST

110
পূর্ণিমার রাতেই চাঁদের 'কলঙ্ক' হয়  পড়ছে মরচে,  চন্দ্রযান-১ এর তথ্য থেকে জানাল নাসা

 চন্দ্রযান ১ এর পাঠানো ছবি ও তথ্য় বিশ্লেষণ করছে নাসাক জেট প্রোপালসন ল্যাবরেট্ররির বানানো মুন মিনাব়্যালেডি ম্যাপার ইনস্ট্রুমেন্ট।  আর সেইখান থেকেই জানতে পারা গেছে চাঁদের রয়েছে বরফ হয়ে যাওয়া জল আর প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ। 

210

চন্দ্রযান ১ এর পাঠান তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একাবার রীতিমত আবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন চাঁদের গায়ে পড়েছে মরচে। 
 

310

 কিন্তু অক্সিজেন না থাকলে মরচে পড়ে না। তাই কোথা থেকে চাঁদে অক্সিজেন আসছে। সেই তথ্যই খুঁজতে বসেছিলেন তাঁরা। আর তাতেই পেলেন চমকপ্রদ তথ্য। যে পৃথিবীর অক্সিজেন থেকেই চাঁদের গায়ে মরচে ধরছে। 

410

 চন্দ্রযান ১ এর তথ্য আর ছবি বিশ্লেষণ করে ছবি আর তথ্য বিশ্লেষণ করে হিমাটাইমের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি লোহার একধরনের অক্সাইড যৌগ। পৃথিবীতে যার নাম মরচে।

510

কিন্তু দেখা গেছে চাঁদে হাইড্রোজেন তলটি সৌরবায়ুমণ্ডলের প্রভাবে  বিস্ফোরিত হয়। যা জারণ প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। তাই কোথা থেকে এক অক্সিজনে তা জানতে তৎপর হয় বিজ্ঞানীরা। 

610

আর সেই সূত্র  বিশ্লেষণ করে  হাইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি করেন যে  পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলের ওপরিভাগের অক্সিজেনই চাঁদে মরচের প্রধান কারণ। যা কয়েক কোটি বছর ধরে সৌর বাতাসের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে চাঁদে। 

710

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে  ঠিল তখনই চাঁদে মরচে পড়তে শুরু করেছিলে। বর্তমানে ইঞ্চি ইঞ্চি করে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। 

810

 বিজ্ঞানীদের মতে চাঁদের দুই মেরুতেই বরফের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই এলাকাতেও মরচে পড়েছে। 

910

পৃথিবী থেকে যে অক্সিজেন চাঁদে চলে যাচ্ছে তা জলে পরিণত হতে পারে না। তৈরি হতে পারে না আইড্রোক্সিল আয়ন। আর সেই কাণরেই অনেক ধরনের অক্সাইডের সন্ধান পাওয়া গেছে। 

1010

 চাঁদে মরচে পড়ে পূর্ণিমার সময়। কারণ এই সময় সৌরবায়ুর হাইড্রোজেনের দাপট কম থাকে। আর অক্সিজেন জলে পরিণত হতে পারে না। 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos