দিনের শুরুতে দেখে নিন সেরা দশ হেডলাইনস , যাতে দিনভর থাকবে নজর
প্রতিমুহূর্তে ঘটে চলেছে নতুন কোনও ঘটনা। সেই সঙ্গে সমানে সামনে আসছে নিত্য-নতুন আপডেট। নতুন করে একটি দিন শুরুর সময় অবশ্যই একটা জিজ্ঞাস্য থাকে যে আজকের সেরা খবর কোনগুলো বা কোন খবরগুলিতে থাকবে নজর। এমনকিছু খবরের তালিকা এখানে দেওয়া হয়েছে যা আজ সারা দিন সকলের নজরে থাকবে।
Asianet News Bangla | Published : Feb 10, 2020 3:03 AM IST / Updated: Feb 10 2020, 10:22 AM IST
ঘোষণা হল অস্কার--- লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসেছে অস্কার পুরস্কারের বিতরণী অনুষ্ঠান। চলচ্চিত্র শিল্পের এই সম্মানকে সবচেয়ে দামি এবং গ্ল্যামারাস বলে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে সামনে এসে গিয়েছে বেশকিছু ক্যাটিগরি এবং তাতে প্রাপ্ত সম্মানপ্রাপকদের নাম। ব্র্যাড পিট এবার অভিনেতা হিসাবে অস্কারের বেস্ট সাপোর্টিং অ্যাক্টরের ক্যাটিগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তিনি ওয়ানস আপন এ টাইম ইন হলিউড-এ অসাধারণ অভিনয়ের জন্য এই সম্মান শেষপর্যন্ত জিতে নিয়েছেন। তবে, এই মুহূর্তে সকলে অপেক্ষা করছেন জোকার ছবিটির জন্য। কারণ, জোকার এবার ১১টি বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছে। এদিকে, ভারতীয়দের জন্য একটু হতাশার খবর, বিশেষ করে যারা প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ভক্ত তাদের জন্য। কারণ, প্রিয়ঙ্কা অস্কারের রেড কার্পেট শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে জানিয়েছেন এবার তিনি এই সম্মান প্রদানের অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন না।
অস্কারের জৌলুসকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এরা, নানা কারণে হাতে তোলেননি সম্মান---- ৯২ বছরের অস্কারের ইতিহাসে সেই সম্মান পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন অনেকে। প্রথম অস্কার প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ডুডলি নিকলস। ১৯৩৫ সাল ‘দি ইনফরমার’ ছবির চিত্রনাট্যের জন্য অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। অস্কারের জন্য প্রায় বারো বার মনোনীত হয়েছিলেন ক্যাথেরিন হেপবার্ন। একটানা ৬০ বছর ধরে হলিউডে রাজত্ব করা এই অভিনেত্রী চারবার অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রথম পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। জর্জ সি. স্কট ১৯৭০ সালে ‘প্যাট্টন’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতা হিসেবে অস্কার পান। জিতেন। কিন্তু খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে টেলিফোনেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। ১৯৭৩ সালে ‘দ্য গডফাদার’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার খেতাব পেয়েছিলেন মারলন ব্র্যান্ডো। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি।
ভারতকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ইতিহাস সৃষ্টি করল বাংলাদেশের ছোটরা---- অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১৭৮ রান। বৃষ্টির কারণে সেই লক্ষ্যমাত্রা কমে হয় ১৭০। তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করল বাংলাদেশের ছোটরা। এই প্রথমবার বিশ্বসেরার খেতাব জিতল বাংলাদেশ। অনুর্ধ্ব ১৯ স্তরে হলেও এই জয় বাংলাদেশ ক্রিকেটের কাছে নিঃসন্দেহে স্মরণীয় সাফল্য। এ দিন যেন ফাইনাল জিততে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। রান তাড়া করার সময় কিছুটা চাপে পড়া ছাড়া এ দিন গোটা ম্যাচেই ভারতের ছোটদের উপর কর্তৃত্ব করে বাংলাদেশের ছোটরা। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবে যন্ত্রণায় কাতর ব্যাটসম্যান ইমনের হার না মানা লড়াই, বল হাতে শরিফুলের দাপট। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে যাবে বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলির ইনিংস। কঠিন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা মাথায় টেল এন্ডার রাকিবুলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয় এনে দেন তিনি। ফাইনালের সেরাও হন তিনি।
ফাইনাল শেষে হাতাহাতি , বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ক্রিকেটারদের থামালেন কোচ---- ম্যাচের পরও থামল না উত্তেজনা। আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ভারত-বাংলাদেশ দুদলের ক্রিকেটাররা জড়িয়ে পড়েন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে ৷ এক সময় বচসা হাতাহাতির দিকে গড়ায়। কোচ পরেশ মামরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারত। খেলার শেষ বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষার সঙ্গে সঙ্গে কথাবার্তাও ছিল অত্যন্ত আগ্রাসী৷ ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌজন্য করমর্দনের সময়ও কটূক্তি উড়ে আসে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের তরফে। এক সময় কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে তেড়ে যেতে দেখা যায় বিপক্ষের দিকে। এমনকী কটূক্তি করা একজন বাংলাদেশি ক্রিকেটারকে ঠেলে সরিয়ে দেয় এক ভারতীয় ক্রিকেটার। সেই সময় পরিস্থিতি সামল দেন কোচ পরশ মামরে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলে সিএএ প্রতিবাদ, দুই যুবককে দেখে মারমুখী গেরুয়া ব্রিগেড---- শনিবারের পর রবিবারও সিএএ প্রতিবাদকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল কলকাতা বইমেলায়। অভিযোগ, এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্টলের সামনে কিছু যুবক সিএএ-র প্রতিবাদ দেখাতে যায়। ব্যানার সমেত তাদের ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় গেরুয়া বাহিনী। দুই পক্ষের মধ্য়ে বচসা হাতাহাতির দিকে গড়ানোর আগেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দ্বিতীয় দফায় আবার ঝামেলা শুরু হতেই মারমুখী হয়ে ওঠে গেরুয়া ব্রগিডের লোকজন। কোনও মতে প্রতিবাদকারীদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে বইমেলার শেষদিনই বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে হনুমান চালিশা বিলিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেষদিনেও কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় তুলকালাম। পুলিশ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরে স্টলে আসেন বিজেপি নেতা অনুপম অধিকারী। তিনি বলেন,নাগরিকত্ব আইনে সিলমোহর দিয়েছেন খোদ রাষ্ট্রপতি। তারপরেও এই নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে। বইমেলার মতো একটি জায়গায় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ মানা যায় না।
এবারও বইমেলায় বেস্টসেলার, রেকর্ড গড়ল মমতার বই---- অতীতের পথেই এবারও রেকর্ড পরিমাণ বই বিকোল মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের। আগেও কলকাতা বইমেলায় তাঁর লেখা অধিকাংশ বইয়ের গায়ে বেস্ট সেলারের তকমা লেগেছে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। তথ্য বলছে, এবারে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় মুখ্যমন্ত্রীর ১০১টি বই বিক্রি হচ্ছে। গতবছর যে সংখ্যাটা ছিল ৮৮। এবার অবশ্য বইমেলায় মমতার সবথেক বিক্রিত বইয়ের নাম নাগরিকত্ব আতঙ্ক। জাগো বাংলার স্টল থেকে বিক্রি হয়েছে এই বই। জানা গেছে, মাত্র ৬দিনের বইয়ের সব কপি বিক্রি হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে বইটির এক হাজারটি প্রতিলিপি ছাপা হয়েছিল। গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই বইটি প্রকাশ করে দে-জ পাবলিকেশন।
ভারত নাগরিকত্ব দিলে অর্ধেক বাংলাদেশ ফাঁকা হয়ে যাবে, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর--- ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি পেলে বাংলাদেশ অর্ধেক ফাঁকা হয়ে যাবে। এমনই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। রবিবার হায়দ্রাবাদে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। একই সঙ্গে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-কে তাঁর চ্যালেঞ্জ, দেশের ১৩০ কোটি মানুষের বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব আইনে একটি শব্দ থাকলে তা তিনি বের করে দেখান। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'ভারত নাগরিকত্ব দিতে শুরু করলে তো বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা এখানে চলে আসবে। তার দায় কে নেবেন? কেসিআর না রাহুল গাঁধী?' বিরোধীদের কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেন, 'ওরা অনুপ্রবেশকারীদের জন্য নাগরিকত্ব চায়। দেশের ১৩০ কোটি নাগরিকের বিরুদ্ধে নাগরিকত্ব আইনে একটা শব্দ থাকলেও তা পুনর্বিবেচনা করে দেখতে তৈরি কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু পাকিস্তানি বা বাংলাদেশি মুসলিমদের অসুবিধার কথা ভেবে তা করা হবে না।'
করোনা মোকাবিলায় সাহায্য় করতে প্রস্তুত ভারত, চিনা প্রেসিডেন্টকে চিঠি মোদীর---- করোনাভাইরাস-এর জেরে তৈরি হওয়া বিপর্যয়ে চিনের পাশে দাঁড়াল ভারত। চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং- কে চিঠি লিখে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাহায্যের প্রস্তাব দিলেন। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে ভারত চিনকে সাহায্য করতে প্রস্তুত বলে চিঠিতে প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, চিনা প্রেসিডেন্ট-কে লেখা চিঠিতে করোনা ভাইরাস-এর জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে সেদেশের নাগরিকদের প্রতিও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন তিনি। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা ছাড়াও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সবরকম সাহায্য চিনকে দিতে ভারত তৈরি বলে লিখেছেন নরেন্দ্র মোদী।
করোনা থেকে মুক্তি পেতে আমার নাম জপুন, নিদান ধর্ষণে অভিযুক্ত নিত্যানন্দের--- করোনা ভাইরাসের জেরে চিনে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে পাঁচশো। আক্রান্তের সংখ্যা এখনই৩৭ হাজার অতিক্রম করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখনই কোনও ধরনের ওষুধ না পাওয়া গেলে মহামারির আকার ধারণ করবে এই মারণ রোগ। অথচ ধর্ষণে অভিযুক্ত ধর্মগুরু স্বামী নিত্যানন্দ বলছেন, তার নাম জপলেই নাকি পালাবে ভাইরাস। সম্প্রতি টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন নিত্যানন্দ। যেখানে তিনি বলেছেন, আমার নাম জপ করলেই মিলবে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি। এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেননি এই বিতর্কিত ধর্মগুরু। ঠিক কীভাবে তাঁর নাম জপ করতে হবে,তাও দেখিয়ে দিয়েছেন ভিডিয়োতে। ইতিমধ্য়েই গণমাধ্য়মে ছড়িয়ে পড়েছে তার ১ মিনিট ৬ সেকেন্ডের ওই টুইটার ভিডিও।
মোহনবাগান যেন অশ্বমেধের ঘোড়া, পঞ্জাবকে হারিয়ে এক নম্বরেই থাকলেন বেইতিয়ারা--- আই লিগে এখন অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো ছুটছে মোহনবাগান। থামায় কার সাধ্যি! রবিবার কল্যাণীতে লিগের তালিকায় পঞ্জাব এফসি-কে হেলায় হারিয়ে দিল কিবু ভিকুনার ছেলেরা। খেলার ফল ১-০। ম্যাচে একমাত্র গোলটি করলেন পাপা বাবাকার দিওয়ারা। আই লিগে ১১টি ম্যাচ খেলার পর বেইতিয়াদের পয়েন্ট দাঁড়াল ২৬। লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা পঞ্জাব এফসি-র থেকে ৯ পয়েন্টে এগিয়ে গেল মোহনবাগান।