জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগের পর আবারও 'চাণ্যক'র ভূমিকায় অমিত শাহ
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি অভিষেকের সময় থেকেই তাঁর প্রধান সেনাপতির ভূমিকায় অমিত শাহ। দলের সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। বর্তমানে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। কিন্তু এখনও গেরুয়া শিবিরে শেষ কথা বলেন অমিত শাহ। একের পর কাজে বিরোধী পক্ষের সরকার ভেঙে বিজেপির সরকার গড়ারও মূল কারিগর তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েও দলের সম্প্রসারণের লড়াইয়ে ইতি টানেননি অমিত শাহ। বিহার থেকে যে লড়াই শুরু করেছিলেন গোয়া কর্ণাটক হয়ে তা অব্যাহত মধ্যপ্রদেশের ক্ষেত্রেও।
দলীয় নেতাদের গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশই তিনি সফল অন্যদল ছেড়ে আসা নেতাদের মন পেতেও। ঠান্ডা মাখায় একের পর এক রাজনৈতিক চালে বাজিমাত করতে দেখা গেছে তাঁকে। তা সে রাজ্যরাজনীতি হোক আর কেন্দ্রীয় রাজনীতি। মোদি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন অমিত শাহ ছিলেন তাঁর ত্রাতার ভূমিকায়।
Asianet News Bangla | Published : Mar 10, 2020 12:22 PM IST / Updated: Mar 10 2020, 05:53 PM IST
গুজরাট থেকেই নরেন্দ্র মোদির ডান হাত। লক্ষ্যে অবিচল। পাশাপাশি চূড়ান্ত সফলও। ভারতীয় রাজনীতি তিনি 'চাণ্যক'।
২০১৪ সালে মোদি-শাহ জুটি দিল্লির রাজনীতিতে পুরোপুরি ছিলেন আনকোরা। সেই সময় তাঁরা ভরসা করেছিলেন সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলির মত বরিষ্ট নেতৃত্বের ওপর। কিন্তু ২০১৯-এ পুরোপুরি বদলে যায় ছবিটা। বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায় থাকা একমাত্র রাজনাথ সিং-ই রয়েছেন মোদির ক্যাবিনেটে।
ধীরে ধীরে নিস্ক্রীয় করে দেওয়া হয়েছে প্রবীন নেতা লালকৃষ্ণ আডবানি, সুমিত্র মহাজনদের। দলের মূল চালিকা শক্তি বর্তমানে নবীনদের হাতে।
জেপি নাড্ডা বর্তমানে বিজেপির সভাপতি হলেও দলের রাশ রয়েছেন অমিত শাহর হাতে
একই ছবি বিহারে। নীতিশ-লালুর জোট সরকার ভেঙে নীতিশ কুমারকেই মুখ্যমন্ত্রী রেখে সেখানেও সরকার গঠন করে বিজেপি।
দীর্ঘ নাটকের পর কর্নাটকেও কংগ্রেস জেডিএস সরকার ফেলে দিয়ে সক্ষম হয় অমিত শাহর তীক্ষ্ম বুদ্ধি।
মধ্যপ্রদেশে অপারেশন কমলে অমিত শাহ যে সফল তা আবারও প্রমাণ করলেন।
রাজস্থান আর ছত্তিশগড়ে অমিত শাহ কী কৌশল নিয়েছেন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।