লাদাখে অস্থিরতার মধ্যেই চিনের আরও এক পদক্ষেপ। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তের কাছ দিয়ে তিব্বতে প্রথম বিদ্যুৎচালিত বুলেট ট্রেন চালাল চিন। তিব্বতের রাজধানী লাসার সঙ্গে নিনিংচিকে সংযুক্ত করা হয়েছে হিমলয় পার্বত্য অঞ্চলের এই সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথের মাধ্যমে।
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অতি উচ্চ এলাকায় তিব্বতের ওপর দিয়ে বিদ্যুৎ চালিত প্রথম বুলেট ট্রেন ছোটাল চিন। এই রেলপথে তিব্বতের রাজধানী লাসার সঙ্গে যোগাযোগ আরও মজবুত করবে নিনিংচির। তবে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তের কৌশলগত এলাকার খুব কাছ দিয়েই তৈরি হয়েছে এই রেলপথ।
সিচুয়ান-তিব্বত রেলওয়ের মধ্যে পড়ে এই এলাকায় তিব্বত থেকে নিনিংচির দূরত্ব ৪৩৫.৫ কিলোমিটার। জুলাইয়ে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শতবর্ষ উদযাপনএর আগেই এই রেলপথ উদযাপন করা হয়েছে।
সরকারি সংবাদ মাধ্যম সিংহুয়া জানিয়েছে, তিব্বতের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে প্রথম বৈদ্যুতিন রেলপথ লাসাকে যুক্ত করল মূলভূখণ্ডের সঙ্গে। 'ফুক্সিং' বুলেট ট্রেন মালভূমি অঞ্চলের ওপর দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে চলবে।
সিচুয়ান-তিব্বত রেলপথের মাধ্যমে সিচুয়ানের রাজধানী চেঙ্গুদ থেকে লাসার যাত্রায় সময় ৪৮ঘণ্টা থেকে কমে ১৩ ঘণ্টায় এসে দাঁড়িয়েছে। দূরত্ব কমে যাওয়ায় যাতায়াতে অনেকটাই সুবিধে হয়েছে।
তবে চিনের এই পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ভারতের। কারণ নিনিংচি হল মেডোগের প্রিফেকচার স্তরের শহর। যা অরুণচাল প্রদেশ সীমান্ত সংলগ্ন। চিন দীর্ঘ দিন ধরেই অরুণাচলপ্রদেশকে দক্ষিণ তিব্বতের অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে। যা প্রত্যাখান করেছে ভারত।
চিনা আর ভারতের সীমন্ত বিরোধ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ৩,৪.৮৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। চিনা অধ্যাপক কিয়ান ফেল আগেই জানিয়েছেন চিন-ভারত সীমান্তে যদি সমস্যা তৈরি হয় তাহলে এই রেল পথের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধে পাবে চিন। দ্রুত সরবাহের পাশাপাশি দ্রুত যোগাযোগেরও সুবিধে পাবে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষ।
নভেম্বরেই এই রেলপথ তৈরির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে বলেছিলেন রাষ্ট্রপতি শি জিংপিং। তিনি বলেছিলেন রেললাইন সীমান্তের স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সিচুয়ান তিব্বত রেলপথ তিব্বতে এটি দ্বিতীয় রেলপথ। প্রথমটি কিংহাই- তিব্বল রেলপথ। এটি পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা তিব্বত মালভূমিকেরদক্ষিণ পূর্ব দিক দিয়ে যাবে।