প্রায় পাঁচ মাস ধরে বিক্ষোভ, এবার হংকংয়ে পড়তে চলেছে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব
প্রায় পাঁচ মাস ধরে হংকংয়ে বিক্ষোভ চলছে। হংকংয়ে প্রস্তাবিত প্রত্যার্পন বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। হংকংয়ের প্রশাসনিক প্রধান ক্যারি লাম প্রস্তাবিল এই বিল বাতিল করে দিলেও বিক্ষোভ এখনও দমানো যায়নি। বর্তমানে এই বিক্ষোভ স্বাধীনতাকামী বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে। এই বিক্ষোভের জেরে বাণিজ্য শহর হংকং স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হংকংয়ে অর্থ উপার্জনের জন্য আসেন। তাঁদের অর্থ উপার্জনের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
Tamalika Chakraborty | Published : Nov 17, 2019 11:33 AM IST
হংকংয়ের প্রত্যার্পণ বিলে বলা হয়, বিচারের জন্য হংকংয়ের কোনও অভিযুক্তকে চিনের মূল ভূখণ্ডে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই তাঁদের বিচার হবে। কিন্তু হংকংয়ের সাধারণ মানুষের অভিযোগ চিনের মূল ভূখণ্ডে গেলে হংকংয়ের অভিযুক্তরা সুবিচার পাবে না।
হংকংয়ের বিক্ষোভের জেরে এক দশকের মধ্যে প্রথমবারের জন্য অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। বিশ্ব যখন অর্থনীতির মন্দা ছেয়ে গিয়েছিল, তখনও হংকংয়ের অর্থনীতি বেশ উর্ধ্বগামী ছিল।
হংকংয়ে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্রমেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে তাঁর মৃত্যু হয় বলে হংকং প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এরপর থেকে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সক্রিয়ভাবে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা শুরু করে।
প্রথমদিকে পুলিশ হংকংয়ের বিক্ষোভে কোনও আঘাত না হানলেও ধীরে ধীরে কঠোর হাতে এই বিক্ষোভ দমানোর চেষ্টা করে। জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ও গুলিও পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ছোড়ে। কয়েকদিন আগেই বিক্ষোভকারী কয়েকজন চিকিৎসক, উকিলকে গ্রেপ্তার করে। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে পুলিশ ছেড়ে দিলেও, কয়েকজনকে এখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
ব্রিটিশরা হংকংকে চিনের কাছে হস্তান্তর করে। সেই ব্রিটিশ প্রশাসন জানায়, হংকং চিনের অংশ হলেও এখানে সায়াত্ত্বশাসন বজায় থাকবেন। মূল ভূখণ্ডের নাগরিকের থেকে হংকংয়ের বাসিন্দারা অনেক বেশি স্বাধীনভাবে থাকেন। ক্রমেই এই স্বাধীনতা হরণ করার চেষ্টা করছে চিন।