সকালেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ৪ জেলায়, ফের ঘূর্ণাবর্তের জেরে প্রবল বর্ষণের পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে
বুধবারও সূর্যের দেখা মেলেনি। আকাশ মেঘলা শহর ও শহরতলিতে। এদিকে ভারী বৃষ্টি বেহাল অবস্থা শহর-শহরতলিতে। বন্যায় ভেসেছে ইতিমধ্যেই দুই মেদিনীপুর। তারই মধ্যে ফুঁসছে নিম্নচাপ। আর এমনই সময় ফের প্রবল বর্ষণের পূর্বভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। দেখুন ছবি।
Asianet News Bangla | Published : Sep 22, 2021 3:34 AM IST / Updated: Sep 22 2021, 09:07 AM IST
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার সকালেই আগামী ২ থেকে ৩ ঘন্টা মধ্য়ে দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি, দুই মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২৫ তারিখ নতুন করে আবারও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্ত পরবর্তীকালে ২৬ তারিখ উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসবে। সেই সময় উপকূলের জেলাগুলোতে আবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবারের নিম্নচাপটি এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গ ও উড়িষ্যা উপকূলে রয়েছে। ধীরে ধীরে উত্তর উড়িষ্যা ও ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোচ্ছে। এই নিম্নচাপ এর ফলে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। বাকি জেলা হাওড়া পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানের ভারী বৃষ্টি হবে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার পুরুলিয়া,বাঁকুড়া,পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি হবে। কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে সরে যাওয়ার জন্য খুব বেশি বৃষ্টি হবে না। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে কলকাতায়।
শনিবার ফের পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা। এই ঘূর্ণাবর্ত ক্রমশ পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে উড়িষ্যা উপকূলে আসবে। এর প্রভাবে আগামী রবিবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে নতুন করে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার কলকাতা মেঘলা আকাশ থাকবে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের কলকাতার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে। শুরু হবে ফের হাঁসফাঁস অবস্থা শহরও শহরতলিতে।
দুর্যোগের মাঝে ইতিমধ্য়েই জেলার প্রতিমুহূর্তের পরিস্থিতি জানতে নবান্নে কন্ট্রোল খোলা হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, প্রত্যেক জেলা শাসককে বিপর্যয় মোকাবিলার খরচ দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৪৭ টি ব্লক এবং ৮ টি পুরসভা জলের নীচে। প্রায় ১৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৩২৮ জন মানুষ জলবন্দি রয়েছেন।
১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জলে ডুবে, দেওয়াল খসে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত ১ লক্ষ বাড়ি এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষের জমি-শস্য, গবাদি পশু। তাই যে কোনও সমস্যায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে টোল ফ্রি নাম্বার ১০৭০ তে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
টানা প্রবল বর্ষণে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই নীচে নেমেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা২৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়ার্স। স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.০ ডিগ্রী।
অপরদিকে, শহরের বাতাসে জলীয়বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৮৩ শতাংশ বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।