মাছ বিকোতে খসল মাস্ক, বাজার বন্ধে মাইকিংয়েও হল না কাজ, শেষে লাঠি উঁচিয়ে ধমক পুলিশের

নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও হুঁশ নেই। লকডাউনে কলকাতার মার্কেটে-বাজারে লাগামছাড়া ভিড়। দিব্যি নাকের নীচে মাস্ক, মাছ বিক্রেতার। ক্রেতাকে মাছ বিক্রি করতে আবেগঘন এক্সপ্রেসন দিতে হবে কিনা। তবে ক্রেতারাও কম যান কিসে।  এদিকে যে মাছের সঙ্গে ফ্রিতেই কোভিড ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে, সেদিকে কতটা যে সতর্ক বাঙালি, তা বাজারে মাইকিং করেই টের পেলেন শহররের পুলিশ কর্মীরা। দেখুন সেই ছবি।

Ritam Talukder | Published : May 1, 2021 9:49 AM IST / Updated: Aug 25 2021, 05:27 PM IST

16
মাছ বিকোতে খসল মাস্ক,   বাজার বন্ধে মাইকিংয়েও হল না কাজ, শেষে লাঠি উঁচিয়ে ধমক পুলিশের

সকাল ১০ অবধি সাধারণত বাজার খোলা থাকছে। এধিকে  নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও বিক্রেতাদের হুঁশ নেই।  লকডাউনে দক্ষিণ কলকাতার লেক মার্কেট এবং যাদবপুর বাজারে লাগামছাড়া ভিড়। তার উপর কোভিড বিধি শিকেয় তুলে  নাকের নীচে গড়িয়ে পড়েছে মাস্ক, এই  মাছ বিক্রেতার। 

26

যাদবপুর বাজারে দেখা গেল কোভিড সতর্কতা শিকেয় তোলার দৃশ্য। মাস্ক পরে ক্রেতাকে মাছ বিক্রি করতে গিয়ে পাছে আবেগঘন এক্সপ্রেসন বাদ যায়, তাই মাস্ক নামিয়ে 'কেনা দামেই বিক্রি' বলে প্রাণ জুড়োনো হাসি দেয় বিক্রেতা। তবেক্রেতারাও কম যান কিসে, তাঁরাও পারলে মাস্ক নামিয়ে হাসিটা দেখিয়েই দেন। এই অছিলায় তাজা মাছের গন্ধটাও নিয়ে ফেলে বাঙালি।  

36

উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা সর্বত্র একই ছাপ স্পষ্ট। ক্রেতা-বিক্রেতা যদিও ইতিমধ্যেই ২০২০  পার করে দিয়েছে। টানা দীর্ঘ দিন রোজগার হারিয়ে ছিল অনেকেই। কারণ বাড়ি-বাড়ি গিয়েও মাছ বিক্রি করার উপায়ও নেই। অনেক পাড়াতেই চলছে কোভিড বিধি। তাই মাছের বাজারে গায়ে গায়ে ঘষাঘষি করে হোক, কিংবা অন্য কোনও ভাবে, অজান্তেই কোভিড ভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে, সেদিকে কতটা যে সতর্ক বাঙালি, তা বাজারে মাইকিং করেই টের পেলেন শহররের পুলিশ কর্মীরা। 

46

 দেশ জুড়েই ত্রাহি ত্রাহি রব। প্রিয় মানুষের ফোন পেলে খবর আধানপ্রদানের পাশাপাশি, পছন্দের মাছটা কতদিন যে খাই না , এ দুঃখ্যে কথা সুযোগ পেলেই বাঙালি বলে। তবে সেই সঙ্গে অক্সিজেনের ঘাটতি-বেড নেই-এসব সব নিয়ে যথেষ্টই সতর্ক শহরবাসী। তাই ফোনালাপে সেই কথাও ওঠে। তবে কিনা ভোজনরসিক বাঙালির মাছ দেখলে বোধয় একটু আবেগ প্রবণই হয়ে পড়েন এখনও। 'কোথায় কোভিড', মুহূর্তের মধ্যে মাথা থেকে হারিয়ে যায়। 'তাজা কই পাই কোথায়' বরং বলতে বেশি আরাম পায় বাজারমুখী বাঙালি।

56

 যদিও কোভিড বিধি-লকডাউন বিধি মেনে বাজার করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। তার মধ্যে অন্যতম সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করা। সময়ের মধ্য়ে বাজার করে বাড়ি ফিরে আসা। যতটা সম্ভব নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। ঠিক মতো করে মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা। এবং অবশ্যই উপসর্গ চোখে পড়লেই কোভিড টেস্ট করা। প্রাণ থাকলেই পেট পুরে খাওয়া যাবে।

66

যদিও  এদিন শহরের একাধিক বাজারে দোকান বন্ধের জন্য বহুবার পুলিশ জানায়। কিন্তু শেষ অবধি মাইকিংয় করেও হল না কাজ। বাধ্য হয়ে শেষ অবধি লাঠি উঁচিয়ে ধমক পুলিশের। তবে লাঠি চার্য করেনি। তার আগেই ভয়ে দোকানের ঝাপ পড়েছে।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos