স্পেশ্যাল ২৯, লিপ ইয়ার সম্পর্কে জেনে নিন এই মজার তথ্যগুলি
লিপ ইয়ার বছরটা যেন একটু বেশিই স্পেশ্যাল হয় প্রত্যেকের কাছে। ২০২০ সাল অর্থাৎ এই বছরটা লিপ ইয়ার। এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসটা ২৮ নয়, বরং ২৯। আর যাকে ভুগোলের ভাষায় বলা হয় লিপ ডে। এই লিপ ইয়ার নিয়ে অনেক মজার মজার তথ্য রয়েছে। সেগুলি না জানলে লিপ ইয়ারটাই বৃথা। তাই লিপ ইয়ার সম্বন্ধে রইল কিছু মজার তথ্য।
লিপ ইয়ারে যাদের জন্মদিন তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি যেমন দুঃখের তেমনি আবার আনন্দের। তাদের জন্মদিনটা যেন অন্যদের তুলনায় একটু বেশি স্পেশ্যাল হয়। কারণ ৪ বছর পরপর এই জন্মদিন পালন করা হয়।
এই বছর যেহেতু লিপ ইয়ার তাই এই বছরটাকে একটু স্পেশ্যাল ভাবে সেলিব্রেট না করলে বিষয়টা যেন ঠিক হয় না। তাই লিপ ইয়ার উদযাপনে মেতেছে গুগলের ডুডল। লিপ ইয়ার উপলক্ষ্যে বিশেষ ভাবে সেজে উঠেছে গুগলের ডুডল।
সূর্যের চারিদিকে পৃথিবী একবার প্রদক্ষিণ করতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন, ভুগোলের মতে, পৃথিবীর এই বার্ষিক গতির সময় ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা। যার চার বছর যোগফল দাঁড়ায় ৩৬৬ দিন। সেই বাড়তি দিন লিপ ডে হিসেবে যুক্ত করা হয় ফেব্রুয়ারি মাসে।
লিপ ইয়ার কাকে বলে সেটা সকলেরই জানা। যে বছরকে চার দিয়ে ভাগ করে ভাগশেষ থাকে না সেই বছরই লিপ ইয়ার হিসেবে চিহ্নিত হয়। ৪ বছর পর পর এই লিপ ইয়ার হিসেবে চিহ্নিত হয়।
এই লিপ ইয়ারের দিনে জন্ম নেওয়া ব্যক্তি লিপলিং নামে পরিচিত। গিনেস বুক অব রেকর্ড জানিয়েছ, লিপ ডে-তে নাকি একই বংশের দুই সদস্য জন্মানোর রেকর্ড রয়েছ।
কোনও বছরে যদি জন্মদিন সোমবারে পড়ে এবং পরের বছরই লিপ ইয়ার হয় তবে সেইদিনটি মঙ্গলবারের পরিবর্তে বুধবার পড়বে।
১৯১২ সালে লিপ ইয়ারের দিনেই টাইটানিক জাহাজ ডুবে গিয়েছিল।
১৯৭২ সালে লিপ ইয়ারের দিনেই বেনজামিন ফ্রাঙ্কলিন বিদ্যুতের আবিষ্কার করেছিল।
লিপ ডে যদি শুক্রবার হয়, সেদিন নাকি আবহাওয়ারও পরিবর্তন হয়। এই লিপ ডে নিয়ে হাজারো কথা প্রচলন রয়েছে। দুটো শূন্য দিয়ে কোনও বছর শেষ হলেই যে সেই বছরটা লিপ-ইয়ার হবে তার কোনও মানে নেই। যদি সেটা ৪ দিয়ে ভাগ করা যায়, তবেই তা লিপ ইয়ার হবে। যেমন- ১৭০০ বা ১৯০০ লিপ ইয়ার ছিল না, কিন্তু ২০০০ ও ২৪০০ সাল লিপ ইয়ার।