ধ্য়ান চাঁদ-কে নাগরিকত্ব দিতে চেয়েছিলেন হিটলার - কেন তাঁকে বলা হত হকির উইজার্ড, দেখুন

শুক্রবার  রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারের নাম বদলে মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কার করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রদানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মেজর ধ্যানচাঁদের নামে খেলরত্ন পুরস্কারের নামকরণ করার জন্য গোটা ভারত থেকে নাগরিকদের অনুরোধ পেয়েছেন তিনি। তাদের অনুভূতিকে সম্মান জানিয়েই খেলরত্ন পুরস্কারের নাম মেজর ধ্যানচাঁদের নামে রাখা হল বলে, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মেজর ধ্যানচাঁদ'কেই ভারতের সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ঠিক কতটা ভাল ছিলেন? হকি বিশ্বে তিনি পরিচিত হকির জাদুকর হিসাবে। জেনে নেওয়া যাক এই ভারতীয় হকি কিংবদন্তি সম্পর্কে স্বল্প জানা কিছু তথ্য - 
 

amartya lahiri | Published : Aug 6, 2021 11:32 AM IST / Updated: Aug 06 2021, 05:12 PM IST

110
ধ্য়ান চাঁদ-কে নাগরিকত্ব দিতে চেয়েছিলেন হিটলার - কেন তাঁকে বলা হত হকির উইজার্ড, দেখুন

১৯০৫ সালের ২৯ অগাস্ট বর্তমান উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন মেজর ধ্যানচাঁদ। হকি ছিল তাঁর রক্তে। তার পরিবারের অনেকেই ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান আর্মির হয়ে হকি খেলেছেন।

210

১৯৩২ সালে তিনি গোয়ালিয়রের ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। শৈশবে ধ্যানচাঁদের খেলাধুলার প্রতি তার বিশেষ কোনো আগ্রহ না থাকলেও , কুস্তি পছন্দ করতেন তিনি।

310

ধ্যানচাঁদ-এর আসল নাম ছিল ধ্যান সিং। সামরিক কর্তব্য পালনের পর সাধারণত তিনি রাতেই অনুশীলন করতেন বলে,  তাঁর সহ-খেলোয়াড়রা তাঁর নাম দিয়েছিলেন 'চাঁদ'।

410

১৯২৮, ১৯৩২ এবং ১৯৩৬ - তিনটি অলিম্পিকে তিনি ভারতের হয়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেছিলেন। এরমধ্যে ১৯২৮ সালের আমস্টারডাম অলিম্পিকে হকিতে তিনিই ছিলেন শীর্ষ গোলদাতা। ১৪টি গোল করেছিলেন সেই অলিম্পিকে। 

510

২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি হকির মাঠে ছিলেন। ১০২৬ থেকে ১৯৪৮ সালের মধ্যে ধ্যান চাঁদ ৪০০টির বেশি গোল করেছিলেন। 

610

তাঁর এই অসাধারণ গোল করার পারদর্শিতা এবং অসামান্য স্টিক প্লে-র ক্ষমতার জন্য তাঁকে 'দ্য উইজার্ড অফ হকি' বা 'দ্য ম্যাজিশিয়ান অফ হকি' বলা হত। 

710

১৯৫৬ সালে তাঁকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। এছাড়াও বহু সম্মান পেয়েছেন তিনি। তাঁর জন্ম তারিখ, ২৯ অগাস্ট দিনটিকে ভারত সরকার জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে পালন করে।

810

তিন-তিনটি অলিম্পিকে সোনা জয়ের পরও ধ্যানচাঁদের নিজের সবথেকে প্রিয় হকি ম্যাচের স্মৃতি ছিল ১৯৩৩ সালে বেটন কাপের ফাইনালে কলকাতা কাস্টমস বনাম ঝাঁসি হিরোস ম্য়াচ।

910

ধ্যানচঁদের আত্মজীবনীর নাম 'গোল'। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ১৯৩২ সালের অলিম্পিকের ঠিক আগে দিল্লির মরি গেট মাঠে তাঁর নেতৃত্বাধীন ভারত নির্বাচিত দিল্লি একাদশের কাছে ১-৪ গোলে হেরে গিয়েছিল। ৪ বছর আগে একই দিল্লি একাদশকে তারা ০-১২ গোলে পরাজিত করেছিল। ধ্যানচাঁদ লিখেছিলেন, '… এই বিশেষ পরাজয়টি আমাকে চিন্তায় ফেলেছিল। প্রথমবার আমি অলিম্পিক দলের অধিনায়ক ছিলাম, আমার দায়িত্বে কি ভারত শিরোপা হারাবে?' 

1010

তবে ধ্য়ানচাঁদ সম্পর্কে সবথেকে আকর্ষণীয় তথ্য হল, ১৯৩৬ সালের বার্লিন অলিম্পিক্সে, ধ্য়ানচাঁদের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন নাজি জার্মানির চ্যান্সেলর হিটলার স্বয়ং। বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৎকালীন জার্মান স্বৈরশাসক ধ্যানচাঁদকে জার্মান নাগরিকত্ব দিতে চেয়েছিলেন। তবে মনে প্রাণে ভারতীয় ধ্য়ানচাঁদ তা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos