ঘড়িতে তখন ২টো ৪৫। কলকাতা বিমানবন্দরে নামল প্রধানমন্ত্রীর বিমান। কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে রেসকোর্সে যান নরেন্দ্র মোদী।
রেসকোর্স থেকে সোজা চলে যান নেতাজী ভবনে। যদিও, তাঁর সফরসূচিতে নেতাজী ভবনে যাওয়ার কথা ছিল না বলে সূত্রের খবর। শেষ মুহূর্তে সফরসূচি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে নেতাজীর বাসভবন।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নেতাজীর বাসভবনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান চন্দন বসু, স্বপন দাশগুপ্ত সহ অন্যান্যরা। নেতাজীর বাসভবন ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর সফরসঙ্গী ছিলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
নেতাজী ভবনে ১৫-২০ মিনিট সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী। তারপর সেখান থেকে সটান চলে যান ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। জাতীয় গ্রন্থাগারের এক নম্বর গেট দিয়ে ঢোকে নরেন্দ্র মোদীর কনভয়। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ঢুকেই নেতাজীর মূর্তিতে পুষ্প অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় গ্রন্থাগারে একটি আন্তর্জাতিক আলোচনা চক্রে যোগ দেন। ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল লাইব্রেরির বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।
কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরি ভারতের বৃহত্তম গ্রন্থাগার। বর্তমানে এই গ্রন্থাগারে ২০ লক্ষ বই এবং ৫ লক্ষ পাণ্ডুলিপি রয়েছে। জাতীয় গ্রন্থাগারের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতীয় গ্রন্থাগার থেকে বেরিয়ে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিতরে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের সংগ্রহশালায় ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও মোদীর সঙ্গে সংগ্রহশালা ঘুরে দেখেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে প্রধানমন্ত্রীর সামনে একলা চলো রে গান গেয়ে শোনান সঙ্গীত শিল্পী উষা উথ্থুপ। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে বিশেষ অনুষ্ঠানে স্বাগত জানানো হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং কেন্দ্রীয় তথ্য সংস্কৃতিমন্ত্রীকে।
সেখানে নেতাজীর সেনানায়কদের উত্তরীয় পরিয়ে তাঁদের সম্মান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে সেখানে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। যদিও, মমতা বক্তব্য না রেখে বয়কট করেন। শেষমেষ স্মারক বক্তত্বা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।