আব্বাস সিদ্দিকীর নাম শুনেই ক্ষুব্ধ মমতা, 'ভাইজান' কি সত্যিই কাঁটা ঘাস-ফুলের
অবশেষে নির্বাচন ঘোষণার ৭ দিন পর পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু তাল কাটল আব্বাস সিদ্দিকীর নাম শুনে। এড়িয়ে গলেন সেই পসঙ্গ।
২৭ তারিখ ঘোষণা হয়েছিল বাংলার বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ। তারপর এক সপ্তাহ ধরে প্রার্থী পদ কোনও দল ঘোষাণা না করায় অপেক্ষার প্রহর গুনছিল সকলেই।
অবশেষে সবার আগে প্রার্থী তালিকায় ঘোষণা করল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ের তিনটি আসন ছেড়ে দিয়ে ২৯১টি কেন্দ্রের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
নন্দীগ্রামে সভা করার সময় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন সেই আসন থেকে লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকাতেও দেখা শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকেই লড়তে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরে এবার প্রীর্থী হচ্ছে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। আর রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে এবার নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বীতা করবেন দেবাশিস কুমার।
সব কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম পড়ে শোনাচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই সাংবাদিকদের তরফ থেকে ভেসে আসে আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা ফুরফুর শরফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর নাম।
নাম শুনতেই রেগে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, এই সব নাম নেবেন না, আমার মাথা কারাপ করবেন না। এই বিষয় নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে চাই না।
এবারের নির্বাচনের অংশ আইএসএফও। বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে লড়ছে আব্বাস সিদ্দিকীর দল। কিন্তু তার নাম শুনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেগে যাওয়ার কারণ নিয়ে প্রশ্ন উটছে রাজনৈতিক মহলে।
এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের সংখ্যা লঘু ভোটে একাধিপত্ব ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। কিন্তু আব্বাস প্রতিনিয়ত যেভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন এবং শাসক দলকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান করছেন তাতে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ফলে সংখ্যা লঘু ভোট ব্যাহ্ক তৃণমূলের হাতছাড়া হলে অনেক আসনের হিসেব পাল্টে যেতে পারে। সেই কারণেই কি আব্বাসের নাম শুনতেই শক্ষুব্ধ হলেন মমতা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
যদিও নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে যে তিনি আত্মবিশ্বাসী তা এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময়ও জানিয়েছেন। তবে সব প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে ২ মে পর্যন্ত।