হিমালয়ের গ্রিফন প্রজাতির একপাল শকুনের মৃত্যু, চাঞ্চল্য বিস্তীর্ণ এলাকায়

Published : Mar 27, 2021, 10:12 PM ISTUpdated : Mar 27, 2021, 11:06 PM IST

শনিবার সসন্ধ্যায় মালব্লকের পশ্চিম ডামডিম এলাকার খাগরা বস্তির এক ফাকা মাঠ থেকে ১৫টি মৃত ও ২৫টি অসুস্থ হিমালয়ন গ্রিফন প্রজাতির শকুন উদ্ধার  করল মালস্কোয়াড ও তারঘেরা রেঞ্জের বনকর্মিরা।   

PREV
14
হিমালয়ের গ্রিফন প্রজাতির একপাল শকুনের মৃত্যু, চাঞ্চল্য বিস্তীর্ণ এলাকায়

আচমকাই একগাদা শকুনের মৃত্যুকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পশুপ্রেমীরা।  একটি মৃত গরু খেতে এসে শকুনগুলি মরে পড়ে থাকে মাঠের মধ্যে। তবে কী কারণে মৃত্য়ু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বেশ কয়েকটি শকুন অসুস্থ। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শকুনগুলি সবই হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির। 
 

24

এঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় ও বনদপ্তরের অনুমান ফাঁকা মাঠে ফেলে রাখা মরা গরুর মাংস খেয়ে মারা যেতে পারে। সন্ধ্যায়  অসুস্থ শকুনদের লাটাগুড়ি এন এই সি তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  ঘটনাস্থলে রয়েছে বনবিভাগের আধিকারিক ও কর্মীরা। রয়েছে পরিবেশ প্রেমী সংস্থার কর্মীরা। 
 

34


ওদলাবাড়ির পরিবেশ কর্মী নফসর আলি বলেন,পশ্চিম ডামডিম এলাকায় চেল নদীর ধারে একটি পাথর ভাঙ্গার হাপার কল রয়েছে। সেই হাপার কলের পিছনে একটি ফাঁকা মাঠে কেউ একটি মরা গরু ফেলেছিল। আজ সকালে এক ঝাঁক হিমালয়ান গ্রিফন প্রজাতির শকুন ওই এলাকায় উড়ে আসে। মরা গরুর মাংস খেতে শুরু করে প্রায় অর্ধেক গরুর মাংস খাওয়ার পর শকুন গুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ হয়ে এদিক ওদিক মরে পড়তে থাকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৫ টি মরা শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। ২৫টি অসুস্থ শকুনকে ইতিমধ্যে লাটাগুড়ি এন আই সি তে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে" । 

44

ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মাল বন্যপ্রান স্কোয়ার্ডের রেঞ্জার দিপেন সুব্বা ও বন কর্মীরা। চলে আসেন তারঘেরা রেঞ্জের বনকর্মীরা ও রেঞ্জার শুভদীপ মৈত্র। খবর পেয়ে জলপাইগুড়ি থেকে চলে ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনের এ ডি এফ ও রিয়া গাঙ্গুলি। সন্ধ্যা পর্যন্ত বনাধিকারিক ও বনকর্মীরা ঘটনা স্থলে শকুনদের উদ্ধার কাজ চালান। কি কারণে এক সাথে এত গুলি শকুনের মৃত্যু ঘটেছে তা নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে বনদপ্তর।

click me!

Recommended Stories