রায়গঞ্জ শহরের হিন্দিভাষী মানুষের সংখ্য়া নেহাত কম নয়। প্রতিবছর ছটপুজোর দিনে শহরের কুলিক নদীর বন্দর, সুভাষগঞ্জ, কাঞ্চনপল্লী ও খরমুজা ঘাটে ভিড় করেন কয়েক হাজার মানুষ। পুজো দেখতে আসেন কয়েক লক্ষ দর্শনার্থীরা।
এবার পরিস্থিতি অন্যরকম। করোনা মোকাবিলায় দুর্গাপুজো, কালিপুজোর মতোও ছটপুজোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। বস্তুত, পরিবেশ রক্ষার জন্য কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে পুজোর অনুমতি দেয়নি সুপ্রিম কোর্টও।
তাহলে উপায়? নদীর ধারে নয়, রায়গঞ্জের তুলসীপাড়া এলাকায় বাড়ির পাশেই কৃত্রিম জলাধার তৈরি করে ছটপুজো করলেন বেশ কয়েকজন পূর্ণ্যার্থী। সামাজিক দূরত্বও বজায় থাকল ষোলোআনা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারা নিজেরাই মাটি খুঁড়ে বাড়ির পাশে প্রথমে একটি খাল তৈরি করেছেন। তারপর সেই খালে পলিথিন বিছিয়ে পাম্পের সাহায্যে জল জমিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কৃত্রিম জলাধার।
করোনা আবহে এবার ছটপুজোর জন্য স্রেফ দু'জনকে নদীর ঘাটে নামার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। এমনকী, পুজো দেখার জন্য ঘাটে কোনওরকম ভিড় বা জমায়েতে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।