
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর কেটে গিয়েছে ৫০ বছর। ভারতীয় বিমান বাহিনী এই যুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করে এবং পাকিস্তানকে তার যুদ্ধ নৌবহর দিয়ে ধূলিসাৎ করে। টানা ১৩ দিন ধরে চলতে থাকা এই যুদ্ধটি ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর শুরু হয়েছিল, যখন পাকিস্তান বিমান বাহিনী ভারতীয় শিবিরকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করেছিল। পাকিস্তান এই যুদ্ধের নাম দিয়েছে 'অপারেশন চেঙ্গিস খান'। পাকিস্তানি বিমান বাহিনী ভারতীয় বিমান বাহিনীর ১১টি বিমানঘাঁটি এবং স্থানকে টার্গেট করেছিল।
এভাবে ভারত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা এবং শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ সৃষ্টির জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করে। একই সময়ে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায়, পাকিস্তানের ইস্টার্ন কমান্ড ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামনে মাথা নত করে এবং যুদ্ধ শেষ হয়। ৯৩ হাজারের বেশি পাকিস্তানি সেনাকে বন্দী করা হয়। পাকিস্তানের পরাজয়ে এবং বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বড় ভূমিকা ছিল। ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে বিমান শক্তির অবদান অনেক।
পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালিদের ওপর অত্যাচার চালায়-
প্রকৃতপক্ষে, ২৬মার্চ ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তাদের বর্বর অভিযান শুরু করে। শুরু হয় বাংলাদেশের মানুষের ওপর অত্যাচার। বাঙালি মুক্তিযোদ্ধারা 'মুক্তিবাহিনী' গঠন করেন। পাকিস্তানি সেনারা হাজার হাজার বাঙালিকে হত্যা করে এবং তাদের নৃশংসতা থেকে বাঁচার পর ১০ কোটি বাঙালি ভারতে আসে। এরপর ভারত থেকে মুক্তিবাহিনীকে সমর্থন দিতে থাকে।
এই বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে ছিল-
একই সময়ে, ভারতের সমর্থনের পরে পাকিস্তান যখন ভারতকে টার্গেট করে, তখন বিমান বাহিনী ফাইটার-বোম্বার স্কোয়াড্রন, তিনটি মিগ-21, চারটি হকার হান্টার, তিনটি ফোল্যান্ড গ্নাটস, একটি সুখোই সু-7 এবং দুটি ক্যানবেরা স্কোয়াড্রন গঠন করে। তিনটি C-47 ডাকোটা স্কোয়াড্রন, দুটি Antonov An-12, একটি DHC-4 Caribou, একটি DHC-3 অটার এবং একটি C-119 প্যাকেট স্কোয়াড্রন জোরহাট, গুয়াহাটি, ব্যারাকপুর এবং দম দম-এ উপস্থিত ছিল। Mi-4 এবং Alouette III হেলিকপ্টারগুলির প্রতিটিতে তিনটি করে ফ্লাইট ছিল।
অন্যদিকে, পাকিস্তানি বিমানবাহিনীর কাছে ছিল মাত্র ১৬টি কানাডিয়ান এফ-৮৬ স্যাবার, দুটি টি-৩৩ প্রশিক্ষক এবং আটটি হেলিকপ্টার। এই ভাবে, ভারত পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর উপর একের পর এক আঘাক হানতে থাকে, অবশেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হয় পাকিস্থান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজি তার ৯৩০০০ সৈন্যসহ ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। বিজয় দিবস বাংলাদেশে 'বিজয় দিবস' বা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবেও পালিত হয়, যা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতাকে চিহ্নিত করে। এর ফলে ভারতের সহায়তায় পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের সূচণা ঘটে।
আরও পড়ুন- Harry Potter: বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে দামি বই, দাম শুনলে চমকে যাবেন
আরও পড়ুন- Indian Currency: টাকার পাশে এই লাইনগুলো কেন থাকে, জেনে নিন এর অর্থ কি
আরও পড়ুন- World's Loneliest House: 'পৃথিবীর নিঃসঙ্গ বাড়ি' ১০০ বছর ধরে আজও একাকী দাঁড়িয়ে
আরও পড়ুন- তবে কি ধ্বংসের মুখে পৃথিবী, সূর্যের মত এই নক্ষত্রের সৌরঝর চিন্তায় ফেলেছে গবেষকদের