লম্বা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ক্যালরিযুক্ত খাবার বিশেষভাবে দরকার। পাশাপাশি সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত স্বাস্থ্যের একটি রুটিন যদি ওই শিশুটি মেনে চলে তাহলে লম্বা হওয়া আটকানো যাবে না।
অনেকেই বিশ্বাস করেন, মানুষ কতটা লম্বা হবে তা নির্ভর করে তার জিনের ওপর। লম্বা বা বেঁটে হওয়া নির্ভর করে পিতৃপুরুষের চেহারার ওপর ভিত্তি করে। কিন্তু চিকিৎসকরা বলেছেন মানুষ লম্বা হতে পারে- তার জন্য প্রয়োজন ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবারসহ জীবনযাত্রার উপযুক্ত নিয়মগুলি। শিশুদের প্রথম থেকে যদি পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায়, পাশাপাশি প্রয়োজনী ব্যায়াম যদি করানো যায় তাহলে পরিবারে সদস্যরা বেঁটে হলেও তারা অনেকক্ষেত্রে লম্বা হতে পারে। লম্বা হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি ক্যালরিযুক্ত খাবার বিশেষভাবে দরকার। পাশাপাশি সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত স্বাস্থ্যের একটি রুটিন যদি ওই শিশুটি মেনে চলে তাহলে লম্বা হওয়া আটকানো যাবে না।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কথায় শিশুদের জন্য সর্বোত্তোম মুভমেন্ট থিরাপি তাদের জয়েন্টগুলিকে খুলে দিয়ে সাহায্য করে। শরীরে লম্বা হওয়ার হরমোন বৃদ্ধি ঘটায়। হার্ট আর ফুসফুসের অবস্থার উন্নতি করে। শরীরে অক্সিজেনের উন্নতি ঘটতে পারে। পাশাপাশি শিশুর শক্তি বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। আর তারজন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি নির্দিষ্ট ব্যায়ামের কথা বলেছেন। সেগুলি হল-
১. পেট আর মুখের দিক করে দেওয়ালের বিপরীত দিকে দাঁড়ানো। তারপর ধীরে ধীরে আঙ্গুলগুলি দিয়ে হামাগুড়ি দেওয়া। পায়ের আঙ্গুলের ডগা যতটা সম্ভব ওপরে তুলে মেরুদণ্ডের হ্যামিংস্ট্রিং , ঘাড়, কাঁধের জয়েন্ট বগল, হিপ সকেট যেখানে সেখান ধরে রাখা। হামাগুড়ি দেওয়ার সময় শ্বাসপ্রশ্বাস ছাড়তে হবে। এই ভাবে পাঁচ থেকে সাত বার করা করান আপনার সন্তানকে।
২. মেরুদণ্ড দেওয়ার বিপরীতে, কাঁধের দৈর্ঘ্য , পা আলাদা করে নরম হাঁটু দিয়ে রুখান। একটি গভীর শ্বাস নিন। ধীরে ধীরে মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে পায়ের আঙুল স্পর্শ করুন। এভাবে পাঁচ থেকে সাতবার করুন।
৩. বাউন্স, স্প্রিং আপ, বাউন্স শ্বাস ছাড়ুন। স্প্রিং আপ করুন। যখন বসবেন তখন শ্বাস ছাড়ুন। আর যখন উঠবেন তখন শ্বাস নিন।
৪. ভুজাঙ্গ আসন করলে দৈর্ঘ্য বাড়ে।
৫. তারপরই পবনমুক্তা আসন ও দ্বৈত পবনমুক্তা আসন করতে হবে। তাহলে উপকার পাবেন।
অপর এক বিশেষজ্ঞের মত শিশুদের লম্বা হওয়ার জন্য প্রয়োজন ক্যালরি যুক্ত খাবার। পাশাপাশি প্রোটিনেরও প্রয়োজন রয়েছে।
খাবার আর জীবনধারা-
শীতকালে শিশুদের প্রচুর পরিমাণে গাওয়া ঘি খাওয়ান। পাশাপাশি চিনির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে দিলে আরও বেশি উপকার পাবেন।
প্রাতঃরাশে শিশুদের সুজি, চিনা বাদাম, ছোলা, মুসুর ডাল, গাজর, বিনস দিতে পারে। শীতকালে সকাল আর দুপুরের খাবারে অবশ্যই ধনেপাতা রাখবেন।
গ্রীষ্মকালে শিশুদের প্রচুর পরিমাণে তরমুজ, বাদাম, ফল খেতে দিন।
দুপুরের খাবার স্যালাড, আলু অবশ্যই রাখবেন। ব্রাউন রাইশের ভাল যদি দিতে পারেন তাহলে আরও ভালো হয়।
শিশুদের নিয়মিত বাটারমিল্ক, তিল, ছাতু , গুড় খাওয়াতে হবে।
জোয়ারের রুটি খুবই উপকারী। পাশাপাশি সবুজ শাকসবদি আর পনির আর স্যুপ জাতীয় খাবার সপ্তাহে তিন দিন দিতে পারেন। রোজ দিলেও কোনও ক্ষতি নেই
শিশুকে বারে বারে খেতে দিন। একসঙ্গে অনেকটা খাবার দেবেন না । তাতে শিশুর শরীর অসুস্থ হয়েছে।
শিশুর লম্বা হওয়ার প্রয়োজনী শর্তিই হল ঘুম। প্রতিদিন ১০ ঘণ্টার বেশি ঘুমাতে গিতে হবে।
পাশাপাশি শিশুর মনে শান্তি আর আনন্দ খুবই জরুরি।