রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে অত্যন্ত কার্যকর আমপাতা, জেনে নিন এর ব্যবহার

  • ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ে একটি খুব সাধারণ সমস্যা 
  • বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে
  • আমের পাতা রক্তে শর্করা বা সুগারের মাত্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর

Asianet News Bangla | Published : Jun 24, 2020 1:06 PM IST

ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ে একটি খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই রাগে বিশ্বজুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত। আজকের সময়ে ডায়াবেটিসের লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি ডায়াবেটিস রোগী হন তবে আপনার ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখা উচিত যা আপনার রক্তে শর্করার পরিমাণকে খুব বেশি প্রভাবিত করবে না। তবে জানলে অবাক হবেন, আমের পাতা রক্তে শর্করা বা সুগারের মাত্রা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। আম পাতায় রয়েছে অনেক গুণ, যার সাহায্যে আপনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। আমের পাতাগুলির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। 

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, আমের পাতার রস (ম্যাঙ্গিফেরিন) এনজাইম আলফা গ্লুকোসিডেসকে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এটি অন্ত্রের কার্বোহাইড্রেট বিপাক হ্রাস করতে সহায়ক। তাই রক্তে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। আমের পাতাগুলিতে ইনসুলিন উত্পাদন এবং গ্লুকোজ বিতরণ করার ক্ষমতা রয়েছে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। আমের পাতায় প্যাকটিন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ। আমের পাতা ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল উভয় ক্ষেত্রেই অত্যন্ত উপকারী।


আমের পাতা কীভাবে ব্যবহার করবেন:

আমের পাতাগুলি ডায়াবেটিস রোগীর জন্য খুব উপকারী। এর জন্য ১০ থেকে ১৫ টা আমের পাতা পরিষ্কার করে নিয়ে জলে ভালোকরে ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপরে পাতাগুলি ভালভাবে সেদ্ধ হয়ে গেলে রাতারাতি রেখে দিন। পরের দিন সকালে জলটি ছেঁকে নিয়ে খালি পেটে ওই জল পান করতে হবে। কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন সকালে এই পানীয়টি আপনার রক্তে শর্করার মাত্রায় হ্রাস করতে ম্যাজিকের মত প্রভাব ফেলবে।

আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন তবে আপনার ডায়েটের প্রতিও যত্ন নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে আপনার ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট এর মাত্রা কম রাখতে হবে। কারণ কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি করে। এর জন্য পর্যায়ক্রমে আপনার ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে দেখুন। এর বাইরে আপনি প্রতিদিন ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Share this article
click me!