বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন। চিকিৎসকরা জানান তিনি ক্যান্সারের অ্যাডভান্স স্টেজে রয়েছেন। বুকে ব্যথা এবং শ্বাস নিতে অসুবিধার কারণে তাঁকে সম্প্রতি মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে এখন ফুসফুসের ক্যান্সার রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতি বছর ভারতে প্রায় ৫৫ হাজার মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে কেবলমাত্র ৫ হাজার মানুষই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এর সবচেয়ে বড় কারণ হল এই রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে খুব কম ধরা পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে যে সমস্ত রোগীদের ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে তাঁদের জীবন বাঁচানোর সম্ভাবনা খানিকটা বেশি থাকে। মেডিকেল অনকোলজিস্ট ডঃ হর্ষ বর্ধন আত্রেয়া গত বছর লখনউতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। ধোঁয়া বা দূষণ আমাদের ত্বক, চুল, দেয়াল, আসবাব, কার্পেট, কুশন এবং অন্যান্য স্থানগুলিকে দূষিত করে। এসবের মধ্যে এই দূষণ বা ধোঁয়া আমাদের আমাদের ফুসফুসের ক্ষতি করে। ডাঃ আত্রিয়া তার সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে নিষ্ক্রিয় ধূমপান এবং দূষণের কারণে ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের রোগীদের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চিকিত্সা বিজ্ঞান অনেক উন্নতি করেছে, তবুও ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্পূর্ণ নিরাময় এখনও সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন- নার্গিসেরও প্রাণ কেড়েছিল ক্যান্সার, ছেলে সঞ্জয়ের ক্যান্সার কতটা প্রাণঘাতী
প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রাথমিক কয়েকটি লক্ষণ হল-
শ্বাসকষ্ট
শ্লেষ্মা দিয়ে রক্তক্ষরণ
ক্রমাগত কাশি
ঊর্ধ্বশ্বাস
ফিঙ্গার ক্লাব বা আঙ্গুলের ডগার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি
এই ফিঙ্গার ক্লাব এই রোগের- প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসাবে বিবেচিত। কী এই ফিঙ্গার ক্লাব?
ফিঙ্গার ক্লাব কী-
ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে অনুসারে, ফিঙ্গার ক্লাব বা আঙ্গুলের ডগার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এভাবে ঘটে।
প্রথমত, নখগুলির নীচের অংশটি নরম হতে শুরু করে। পরে, নখের কাছাকাছি ত্বক লালচে হয়ে যায়।
আঙ্গুলের ডগা অদ্ভুতভাবে ফুলতে শুরু করে এবং অস্বাভাবিকভাবে গঠনের পরিবর্তন হয়। একে স্কারমাউথ সাইনও বলা হয়।
অবশেষে, আঙ্গুলের ডগা বা নখগুলির প্রান্ত বড় হয়ে যায়। এগুলি দেখতে অনেকটা ড্রামস্টিকের মতো হয়।
চিকিৎসকদের মতে, আঙুল এবং নখের দিকে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। যার কারণে নরম টিস্যু আঙুলের ডগায় জমা হতে শুরু করে এবং গঠনের পরিবর্তন হয়।