মাঙ্কিপক্স ঘিরে তুমুল আতঙ্ক , সংক্রামক রোগের চিহ্ন আর প্রতিকারগুলি জেনে নিন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অনুসারে এটি সংক্রমণ থেকে তৈরি হয় মাঙ্কিপক্স। এটি একটি বিরল রোগ তৈরি করতে পারে। এটি পক্সভিরিডে পরিবারের অন্তর্গত অর্থোপক্সভাইরাসের মধ্যে পড়ে। 

Saborni Mitra | Published : May 10, 2022 10:58 AM IST / Updated: May 10 2022, 05:15 PM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। তারই মধ্যে নতুন করে অতঙ্ক বাড়াচ্ছে মাঙ্কিপক্স। ব্রিটেনে এই রোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। রোগী বর্তমানে লন্ডনের সেন্ট থমাস হাসপাতালে রয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে একদম পৃথক করে রাখা হয়েছে। এটি সংক্রামক রোগের তালিকাতেই পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস ইঁদুর বা অন্যান্য প্রাণীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। নাইজেরিয়া থেকে ফেরা এক ব্যক্তির মধ্যে এই রোগের জীবাণু পাওয়া গেছে। 


মাঙ্কিপক্স রোগ-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অনুসারে এটি সংক্রমণ থেকে তৈরি হয় মাঙ্কিপক্স। এটি একটি বিরল রোগ তৈরি করতে পারে। এটি পক্সভিরিডে পরিবারের অন্তর্গত অর্থোপক্সভাইরাসের মধ্যে পড়ে। 

Latest Videos

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে জুনেটিক রোগটি প্রাথমিকভাবে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইনফরেস্ট এলাকায় দেখা যায়। মাঝে মাঝে এটি অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। 

রোগের লক্ষ্ণণ 
জ্বর ফুসকুড়ি, তীব্র মাথাব্যাথা, পিঠেব্যাথা আর পেশীতে ব্যাথা হয়। দুর্বলতা বেড়ে যায়। ওঠার ক্ষমতা প্রায় থাকে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য জানিয়েছে,  মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীদের ত্বকের বড় বড় ফুসকুড়ি বা ফোসকার মত দেখা দেয়। আক্রান্ত হওয়ার প্রথম থেকে তৃতীয় দিনের মধ্যেই প্রবল জ্বর আসে। মুখও ভরে যায় ফুসকুড়িতে। হাতের তালু আর পায়ের পাতাও ভরে যায় ফুসকুড়ি আর গোটা গোটা ফোসকাতে। সর্দির সমস্যা হয়। যৌনাঙ্গ, কনজোক্টিভা ও কর্নিয়াতে প্রভাব পড়ে এই রোগের। এই রোগ সাধারণত ৬-১৩ দিন থাকে। অনেকক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি ২১ দিন পর্যন্ত অসুস্থ থাকে। 

সংক্রমণ ছড়ায়
ব্রিটেনের হেলথ সিকিউরিটি বলেছে মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাস সংক্রমণ। এটি মানুষের মধ্যে সহজে ছড়ায় না। এই রোগের প্রথম প্রকোপ দেখা দিয়েছিল ১৯৫৮ সালে। কারণ সেই সময় গবেষণার জন্য রাখা বানরদের থেকেই পক্সের মত রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছিল। মূলত ব্রিটেশ ও মার্কিন উপনিবেশগুলিতেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। সেইজন্যই এই রোগের নাম দেওয়া হয়েছিল মাঙ্কি পক্স। 

মানুষের দেহে এই রোগের প্রথম সংক্রমণ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছেন, সংক্রমিত প্রাণীর রক্ত, শারীরিক তরল  বা ত্বকের রস অথবা ক্ষতের রস থেকে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। তবে কী থেকে এই রোগের উৎপত্তিত তা স্পষ্ট নয়। মনে করা হয় ইঁদুর এই রোগের গুরুত্বপূর্ণ বাহক। রান্না করা মাংসা বা সংক্রমিত প্রাণীর মাংস খেলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

চিকিৎসা
মাঙ্কিপক্সের জন্য নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা পদ্ধতি নেই। গুটিবসন্ত রোগের টিকা এই রোগের প্রতিরোধা ৮৫ শতাংশ কার্যকর। ছোটবেলায় টিকা দেওয়া থাকলে রোগের কবলে পড়তে নাও হতে পারে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

নাচের অনুষ্ঠানের পারিশ্রমিক চাইতেই এ কী ঘটল ? অবশেষে এল পুলিশ
সিবিআই এতদিন ধরে কী করছে? সঞ্জয় রায়ের বিস্ফোরক মন্তব্যের পর প্রশ্ন কিঞ্জল নন্দের | Kinjal Nanda
এবার খেল দেখাবে শুভেন্দু! 'বোন বলেছি, দায়িত্ব আমার' চরম ইঙ্গিত শুভেন্দুর | Suvendu Adhikari | RG Kar
Live: আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে তৃণমূলকে তুলোধোনা বিজেপির, দেখুন সরাসরি
'নৈহাটি জিতেই পরিবর্তন শুরু হবে' ঝাঁঝাল বার্তা শান্তনু ঠাকুরের | Shantanu Thakur BJP | Naihati