সমকামী পুরুষরাই কি মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হচ্ছে? স্বাস্থ্য সংস্থাগুলি কিন্তু তেমনই জানাচ্ছে

র্তমানে ইউরোপ আর আমেরিকার বেশি কয়েকটি দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে এটি মহামারির আকার নিতে পারবে না বলেও আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। 

ক্রমশই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাঙ্কি পক্স। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রোগ বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, ভাইরাসটি সাধারণ ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বের ২১৯টি দেশে মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে।  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে আগামী দিনে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। 

মাঙ্কি পক্স- যা গুটিবস্তের কম গুরুতর রোগ। এটি পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার ১১টি দেশের স্থানীয় রোগের মধ্যে পড়ে। তবে বর্তমানে ইউরোপ আর আমেরিকার বেশি কয়েকটি দেশে এই রোগের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে এটি মহামারির আকার নিতে পারবে না বলেও আগে থেকেই জানিয়ে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ১৯৫৮ সালে প্রথম মাঙ্কি পক্সের প্রাদুর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। একটি বানরকে গবেষণার জন্য রাখা হয়েছিল। সেটির মধ্যেই প্রথম এই ভাইরাস লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তাইজন্য ভাইরাসটির নাম হয় মাঙ্কি পক্স। ১৯৭০ সালে এটি প্রথম রেকর্ড করা হয়েছিল। 

Latest Videos

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সতর্ক করেছে বর্তমানে গোটা বিশ্বে মাঙ্কি পক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০-র বেশি। আফ্রিকার দেশগুলি ছাড়াও বিশ্বের একাধিক উন্নত দেশে এই রোগে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। আগামী দিনে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারি ও মহামারি প্রস্তুতি  ও প্রতিরোধ প্রধান সিলভি ব্রায়ন্জ ভাইরাসের অস্বাভাবিক বিস্তার সম্পর্কে দেশগুলির কাছ থেকে বিশদ তথ্য চেয়েছেন। 

স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের কথায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সমকামী পুরুষদের মধ্যেই মাঙ্ক পক্স সনাক্ত করা হয়েছে। ব্রিটেনে মে মাসের প্রথম দিক থেকে মাঙ্কি পক্সের রিপোর্ট করা হয়েছে। ব্রিটেনে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে । আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯০। স্পেনে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৮। পর্তুগালে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী ৪০ বছরের কম বয়সী পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। এই রোগের লক্ষ্মণগুলি হল জ্বর, পেশীতে ব্যাথা, ক্ষত ও ঠান্ডা লাগা। ভাইরাসটিতে মৃত্যুর হার তিন থেকে ছয় শতাংশ। বেশিরভাগ লোকই আক্রান্ত হওয়ার তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। 

মাঙ্কি পক্সের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। তবে রোগীদের বিশেষ হাসরাতালে থাকতে হয়ে। অনেকে বাড়িতেও আলাদাভাবে থাকছেন। রোগটি যাতে দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য পৃথক থাকতে বলা হয়েছে আক্রান্তদের। অন্যদিকে তবে বসন্ত রোগের টিকা এই রোগের ক্ষেত্রেও কার্যকর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'জঙ্গিরা ধরা তো পড়ছে, তাহলে আর চিন্তার কি আছে?' হাসতে হাসতে উত্তর রচনার | Rachna Banerjee News
Suvendu Adhikari Live : বিধানসভার বাইরে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী, সরাসরি | Bangla News
এ যেন লুকোচুরি খেলা! ক্ষণে ক্ষণে স্থান পরিবর্তন, এখনও অধরা বাঘিনী যমুনা | Jhargram Tiger News
'কেন্দ্র যদি একটু দয়া দেখায় তাহলে হুগলিতেও মেট্রো চলবে', আশাবাদী Rachana Banerjee
জঙ্গি গ্রেফতারের ২ দিন পরও আতঙ্কে ক্যানিংবাসী, দেখুন কী বলছেন স্থানীয়রা | Canning News