করোনা মহামারী রুখতে দীর্ঘদিন লকডাউন চলছে। একটানা লকডাউনে ঘরবন্দি সবাই। এই সময়ে গরমের দাপটও ক্রমশ বাড়ছে। ঘরে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে এসেছে অনেকেরই। তার মধ্যে যারা ফিটনেস ফ্রিক তাদের অবস্থা আরও নাজেহাল। বাইরে বেরিয়ে বা জিমে গিয়ে এই অবস্থায় জিম করা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই বাড়িতে বসেই শরীরচর্চা যেমন মাস্ট। তেমনই এর পাশাপাশি খাবারেও রাশ টানতে হবে।
আরও পড়ুন-করোনা আতঙ্কের বাজারে সবজি কেনার সময় অবশ্যই মনে রাখুন এই বিষয়গুলি...
মারণ ভাইরাস আটকাতে সকলেই মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কীভাবে ঠেকানো যাবে এই ভাইরাসকে এই নিয়ে দুশ্চিন্তা সকলের। একটাই উপায় এই করোনা ভাইরাস আটকানোর সেটা হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। তাই বাড়িতে থেকে রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে হবে এই সময়ে। তাই বলে শুয়ে বসে নয়,ঠিকমতো ডায়েট মেনে খাওয়াদাওয়া ও শরীরচর্চাই এর একমাত্র ওষুধ। সারাদিন এদিক-ওদিক করে সময় নষ্ট না করে নির্দিষ্ট সময় মেনে শরীরচর্চা করুন। ডায়েট থেকে শুরু করে শরীরচর্চা সব কিছুই নিয়ম মেনে করুন। শরীরকে ফিট রাখতে কী খাবেন আর কী খাবেন না এটাই অনেকে বুঝে উঠতে পারেন না। লকডাউনের মধ্যে নিজেকে ফিট রাখতে পাতে রাখুন এই খাবারগুলি।
আরও পড়ুন-লকডাউনে কি অ্যাকাউন্টে ঢুকছে গ্যাসের ভর্তুকির টাকা, জেনে নিন বাড়িতে বসেই...
অতিরিক্ত তেল বা ভাজা জাতীয় খাবার এই সময়ে এড়িয়ে চলুন।
ফল, শাক-সব্জি খাওয়ার আগে ভাল করে ধুয়ে নিন।
শসা, কাঁচা আম, লাউ, ঝিঙে, পটল, কলমি শাক, পাট শাক এই সব্জি গুলি অবশ্যই পাতে রাখুন।
রান্নায় জিরে, ধনে, আদা, মৌরির মতো মশলাপাতির ব্যবহার বন্ধ করবেন না।
শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভীষণ কার্যকরী রসুন। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রসুন রাখুন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মৌরি ভেজানো জল খান।
জোয়ান ভেজানো জলও খেতে পারেন এতে হজমের সমস্যা কমে যাবে।
প্রচুর পরিমাণে জল খান এর পাশাপাশি শরীরচর্চা মাস্ট।
ফিট থাকতে হলে সবার আগে প্রতিদিন অন্তত ২-৩ ঘণ্টা ব্যায়াম করা মাস্ট।
এছাড়া বাকি সময়টাতেও কোনও না কোনও কাজে নিজেকে অ্যাক্টিভ রাখুন।এতেও অনেকটা ক্যালরি বার্ন হবে।
যারা নাচ করতে ভালবাসেন তারা ঘরের মধ্যে কিছুটা সময় জোরে মিউজিক চালিয়ে নাচ করে নিন। এতেও ক্যালরি কমবে।
বিকেলে বাড়ির ছাদে বা পাশাপাশি কোনও পার্ক থাকলে সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ জগিং করে নিন এতেও বাড়তি মেদ কমবে।
তবে যাই করুন না কেন অবশ্যই দূরত্ব বজায় রেখে করবেন।