আতঙ্কের পরিবেশে আনন্দের অনুভূতি, 'করোনার মধ্য়েই' রঙের উৎসবে বিদেশিনী

Published : Mar 10, 2020, 09:49 PM ISTUpdated : Mar 10, 2020, 09:54 PM IST
আতঙ্কের পরিবেশে আনন্দের অনুভূতি,  'করোনার মধ্য়েই' রঙের উৎসবে বিদেশিনী

সংক্ষিপ্ত

করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক উড়িয়ে উলুবেরিয়ায় বিদেশিনী মহিলাকে নিয়ে বসন্ত উৎসবে শামিল আমতার মানুষ  দুই সংস্থার আয়োজনে হয়ে থাকে এই উৎসব  সেই উপলক্ষে সোম ও মঙ্গলবার দু'দিন ধরে চলল রঙের উৎসব 

করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক উড়িয়ে দিয়ে জার্মান থেকে আগত বিদেশিনী মহিলাকে নিয়ে বসন্ত উৎসবে শামিল হলেন আমতা থানার উদং গ্রামের মানুষ। হাওড়া মঙ্গলদীপ শিশু কল্যাণ সমিতি, সুরমঞ্জরী ও খড়দহ নিউ এজ সংস্থার উদ্যোগে উদং গ্রামে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেই উপলক্ষে সোম ও মঙ্গলবার দু'দিন ধরে জার্মান মহিলা নাস্তাসিয়া ফ্লিমোনার সঙ্গে রঙের উৎসব দোলে সামিল হয়েছেন এই গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা।

স্বামীর পরকীয়া সম্পর্কে বাধা, প্রতিবাদে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ 

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এ বছর শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব স্থগিত রাখা হয়। বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবে অসংখ্য বিদেশি অতিথি অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে এই আতঙ্কে যখন বসন্ত উৎসব স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ঠিক তখনই আমতার এই প্রত্যন্ত গ্রামে বিদেশিনী নাস্তাসিয়াকে নিজেদের উৎসবে শামিল করে সমাজের প্রতি এক অনন্য বার্তা উপহার দিলেন উৎসবের উদ্যোক্তারা। 

রবীন্দ্রসঙ্গীতে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার, রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ

কোনওরকম ভেদাভেদ বা দূরত্ব বজায় না রেখে আবির খেলার মধ্যে দিয়ে নাস্তাসিয়ার সঙ্গে একাত্ম হয়ে ওঠেন সুরমঞ্জরীর কর্ণধার চিন্ময়ী সেনশর্মা থেকে শুরু করে বিশিষ্ট আবৃত্তিকার স্মৃতি মাধুরী দাস, সংগীতশিল্পী শুক্লা রীত, শিশু শিল্পী অর্চিষ্মিতা সহ এলাকার আপামর জনগণ। চিন্ময়ী সেনশর্মা বলেন, ভাইরাস বাহিত কোনও রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে গেলে নিশ্চয়ই কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। কিন্তু মানুষের প্রতি প্রকৃত ভালবাসা থাকলে কোনও রোগ মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করতে পারে না।

ফের কলকাতায় করোনা আতঙ্ক, শরীরে চিনা ভাইরাস সন্দেহে হাসপাতালে মহিলা

 নাস্তাসিয়া নিজে একজন সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্রী। তিনিও আমাদের দেশের মানুষের ভালবাসার টানে কয়েকদিন আগেই গবেষক হিসাবে জার্মান থেকে ভারতে এসেছেন। রঙের উৎসব দোলযাত্রা দেখে তিনি অভিভূত হয়ে যান। তাঁর আনন্দ অনুভূতিকে আরও বর্ণময় করে তোলার জন্যই কোনও রকম দ্বিধা-দ্বন্দ্ব এবং আতঙ্ককে মনে প্রশ্রয় না দিয়ে তাঁকে নিজেদেরই একজন মনে করে এই উৎসবে শামিল করা হয়। 

গ্রামবাসীরাও রঙের উৎসবে তাঁকে সম্পৃক্ত হতে দেখে আপ্লুত হয়েছেন। শিক্ষক সায়ন দে জানান বসন্ত উৎসবে তাঁর মতো একজন মহিয়সী নারীকে পেয়ে তাঁরা অত্যন্ত গর্বিত। আর এই উৎসবে শামিল হতে পেরে উচ্ছ্বসিত নাস্তাসিয়া। তিনি বলেন কবিগুরুর নাম তিনি অনেক শুনেছেন। আজ তিনি বসন্ত উৎসবে শামিল হতে পেরে রবি ঠাকুরের বাংলার প্রকৃত রূপ খুঁজে পেয়েছেন।

PREV
click me!

Recommended Stories

Humayun Kabir : যেখানে হবে বাবরি মসজিদ, সেখানেই হল প্রথম নমাজ! ফের হুঙ্কার হুমায়ুনের
Saugata Roy Cigarette Incident: সংসদে সিগারেট কাণ্ড, তৃণমূলের সৌগত রায়কে ধুয়ে দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব